Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এসআই আকবরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে অস্বীকৃতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যার প্রধান অভিযুক্ত সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গতকাল আকবরের ৭ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুনরায় তার রিমান্ড না চাওয়ায় আকবরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম।
আকবর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় কী বলেছেন, সে বিষয়ে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিলেট কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান তদন্তের স্বার্থে কিছু বলতে রাজি হননি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর আগে নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বন্দরবাজার ফাঁড়ির তিনজন কনস্টেবল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আলোকে তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছে পিবিআই। পাশাপাশি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ও নিহত রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা সাইদুল শেখের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার সমন্বিত তদন্ত করা হচ্ছে। দুটি পৃথক মামলা একীভূত করে অভিযুক্ত শনাক্ত করা হতে পারে।

অন্যদিকে একই মামলার আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন অর রশিদ এবং প্রত্যাহার হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদেরও কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি সাইদুল শেখ অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন।

এর আগে গত সোমবার আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে দুপুরে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ডোনা এলাকা থেকে জেলা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। ভারতে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সীমান্ত এলাকার সূত্রে জানা গেছে, আকবর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের ওপারে খাসিয়া পল্লিতে বসবাস করছিলেন। খাসিয়ারা কৌশলে বাংলাদেশে পাঠালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে সিলেটে আনার পর সন্ধ্যা ৮টায় তাকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর এসআই আকবর হোসেন ভূঁঞাকে আদালতে মাধ্যমে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রায়হান হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ