বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ইটভাটা শ্রমিক আবির হোসেন বাবু (২৮) কে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
এরা হলেন, নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩২) ও শ্যালক পুলিশ সদস্য আরিফুল ইসলাম (২৪)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যশোরের মাগুরা থেকে পুলিশ সদস্য আরিফুল ইসলামকে, আর সাবিনাকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানায় তাদেরকে জিঙ্গাসাবাদ চলছে।
এদিকে, নিহত বাবুর মা হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে পুত্রবধূ সাবিনা ইয়াসমিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর: ৪)।
হত্যার শিকার আবির হোসেন বাবুর মা হোসনেয়ারা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাঠি গ্রামের বিধবা সাবিনা ইয়াসমিন (৩২) এর সাথে তার ছেলের বিয়ে হয়। সাবিনার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মৃত আরশাদ আলী আমিন মোড়ল। সাবিনার আগের পক্ষের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। পরিবারের অমতে বিয়ের প্রায় ৮ মাস পার হলেও তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। জমি জায়গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মনোমানিল্য চলতো।
তিনি আরো বলেন, আনুমানিক তিনমাস আগে সাবিনার আগের স্বামীর ঘরে কে-বা কারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এঘটনায় সাবিনা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। মামলায় সাবিনা তার আগের স্বামীর নাম ব্যবহার করে এবং আমার ছেলে বাবুকে ১ নং স্বাক্ষী করে। তিনি বলেন, এই মামলায় আগের স্বামীর নাম ঠিকানা ব্যবহার করা ও কিছু না জানার পরও বাবুকে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য চাপ সৃস্টি করা নিয়ে সম্প্রতি বৌমা সাবিনার সাথে বাবুর স¤র্পকের আরো অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে তারা হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, সাবিনার ভাই আরিফুল ইসলাম পুলিশে চাকরি করে। দ্ইু/তিন দিন আগে আরিফুল বাড়িতে আসে। আমার ছেলে বাবুকে ওই পুলিশসহ অন্যান্যরা শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করে শ্বাস রোধ করে মেরে বাতাবী লেবু গাছে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর থেকে পুলিশ আরিফুলকে আর এলাকায় দেখা যায় নি। সে গা ঢাকা দেয়। তিনি তার ছেলে হত্যার দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত আবির হোসেন বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন ও শ্যালক পুলিশ সদস্য আরিফুল ইসলাম তাদের হেফাজতে রয়েছে। জিঙ্গাসাবাদ চলছে। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।