পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে গুজব সৃষ্টি ও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তাদের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। গুজব ছড়ানো আইডি শনাক্ত করে নেয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। গুজব সৃষ্টি ও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশকে সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গত রোববার রাতে এক সরকারি তথ্য-বিবরণীতে বলা হয়, কোনো ধরনের গুজব বা উস্কানীমূলক বক্তব্যে কান না দেয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুজব সৃষ্টিকারী সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে তা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
পুলিশ সদর দফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কেউ যাতে গুজবের শিকার না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপ এবং পেজের পোস্টে নজরদারি শুরু করেছে। কোনো আক্রমণাত্মক ও রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ফেসবুকের কাছে পোস্ট মুছে দেয়ার আবেদন করছেন তারা।
তিনি আরো জানিয়েছে, গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা এর আগেও হয়েছে। তাই আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, র্যাবের একটি দক্ষ ও চৌকস সাইবার মনিটরিং টিম রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক সব সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি করছে। যদি কেউ গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করে তাকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ যে কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে র্যাবের ভেরিফাইড পেজে জানতে পারেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, গুজব রটানোকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পাশাপাশি জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে। কেউ যদি গুজবের মাধ্যমে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তার বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটে মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ আগুনে পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। যদিও পরবর্তীতে স্থানীয়রা বলেন নিহত ব্যক্তি ধার্মিক ছিলেন। সর্বশেষ গত রোববার বিকেলে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লায় মুরাদনগরে সাতটি ঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সত্যতা যাচাই করতে ৯৯৯-এ কল করুন-পুলিশ সদর দফতর
স¤প্রতি দেশে দূর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকটি সম্পূর্ন গুজব সৃষ্ট অত্যন্ত নৃশংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে ও নীরিহ মানুষের প্রানহানি ঘটেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিপ্রায়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্পর্শকাতর ধর্মীয় বিষয়সহ নানা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও জনশৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করছে। গতকাল পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ শান্তি প্রিয়। তারা যে কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা, সহিংসতা, বর্বরতা ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিতে এবং যে কোনো তথ্য ও সংবাদ যাচাই ব্যতীত বিশ্বাস না করতে জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার বর্বর প্রবনতা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ধরনের সকল বেআইনী কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে। যে কোনো তথ্য ও সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগের পাশাপাশি নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।