পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আর্মেনিয়ার দখল থেকে ১৯৩ টি স্থাপনা মুক্ত করেছে আজারবাইজান সেনাবাহিনী। রোববার এ তথ্য জানায় তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আজারবাইজান সেনাবাহিনী আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করা অঞ্চল রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। গেলো ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক। এর আগে আর্মেনিয়ার হাত থেকে ইরান সীমান্ত দখলমুক্ত করে নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে আজারাবাইজানের সেনাবাহিনী। রোববার তুর্কি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, জাঙ্গালিয়ান ও জাবরাইল জেলার সোলতানলি ও খালফলি এলাকা দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। ওই এলাকাগুলোতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে দেশটি। আজারবাইজানের চিফ প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে আর্মেনিয়ার হামলায় অন্তত ৯১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ শিশু ও ২৭ জন নারী রয়েছেন। আর্মেনিয়ার হামলায় অন্তত আড়াই হাজার বসতঘর, ৯২টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৪২৮টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আজারবাইজানের হামলায় প্রায় দেড় হাজার আর্মেনিয়ার সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এদিকে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে যখন উত্তেজনা আরো বেড়েছে, তখন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বাকু সফরে গেছেন। রোববার চাভুসওগ্লু বলেন, আমি বাকু গিয়েছি প্রিয় আজারবাইজানবাসীর জন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে জোরালো সমর্থন ঘোষণা করার জন্য। পাশাপাশি নাগরনো-কারাবাখের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। এতে আজারবাইজানের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা করেছে তুরস্ক। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখন্ড বলে স্বীকৃত। কিন্তু আর্মেনিয়া সমর্থিত সন্ত্রাসীরা কয়েক দশক ধরে অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার উদ্যোগে দুইদফা যুদ্ধবিরতি হয়েছে কিন্তু একবারও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অবশ্য, এখনো শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আনাদোলু, ইয়েনি শাফাক,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।