Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের অবরোধ

৩ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পরে দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। একই দাবিতে আজ ফের তারা শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করায় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
তিন দফা দাবি হলো- করোনা মহামারিতে প্রফের বিকল্প দিতে হবে; অনতিবিলম্বে সেশনজট দূর করতে পরবর্তী ধাপের অনলাইন ক্লাস শুরু করতে হবে এবং পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত সব আদেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে হবে।
আন্দোলনে অংশ নেয়া সাবিকুন মৌ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন তারা। পরে সাধারণ মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রায় চার শ শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নেয়া হবে। করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প উদ্যোগ নিলেও আমাদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য হুমকি।
তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। অনেক হলে আমরা একেক রুমে তিন থেকে চার জন বা তারও বেশি বসবাস করি। কমন বাথরুম ব্যবহার করতে হয়। একটি বেসিন ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। করোনার কারণে আমরা ইতোমধ্যে অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি।
অন্যদিকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলোর ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত বেতন পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ প্রয়োগ করছে। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের এসব সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলতে চাই— বলেন শিক্ষার্থীরা।
অনিক সাহা নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, গত সাত মাসে ক্লাস বন্ধ থাকার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশের পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধের নোটিশ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নকালে ৬০ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরেও বেতন আদায় ও পরবর্তীতে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হলে সেজন্য টাকা আদায় করবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবরোধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ