পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন নাছিমা বেগম বলেছেন, বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কোনো বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এ ধরনের হত্যাকান্ড সমর্থন করতে পারে না। কমিশনও এই ধরনের হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কোনোভাবেই এমন হত্যাকান্ড কমিশন মেনে নেয় না। গতকাল চলমান বিচার বর্হিভ‚ত হত্যাকাÐ সম্পর্কে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ ভার্চুয়াল সভায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের মানবাধিকার কর্মী, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাসহ দেশের মোট ২২টি জেলা থেকে প্রায় ৫৫ জন এ আলোচনায় অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের কর্ম অভিজ্ঞতার আলোকে নিজ নিজ জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি, কাজ করার ক্ষেত্রে তারা যে যে প্রতিবন্ধকতাসমূহের সম্মুখীন হোন তার ওপর আলোকপাত করেন। কমিশনের কাছ থেকে তারা কি ধরনের উদোগ প্রত্যাশা করেন তা তুলে ধরেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি পরিসংখ্যানগত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনে বিচারবর্হিভ‚ত হত্যাকান্ড, কারা হেফাজতে মৃত্যু, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, পারিবারিক নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ ও হত্যা, সীমান্ত সংঘাত, সাংবাদিক হয়রানি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। মানবাধিকারকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কমিশনের চেয়ারপারসন বলেন, ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ ও বলৎকারের মতো ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনার দ্রæত বিচার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি ধর্ষণের শিকার নারীদেরও সাহস যোগানোর জন্য মানবাধিকার কর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের বোঝাতে হবে এক্ষেত্রে তার কোনো দায় নেই, সব অপরাধ ধর্ষকের। ভয় তাকে পেতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি যাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল সংরক্ষণ করে সে ব্যাপারে তাদের সচেতন করতে হবে। আসকের পক্ষ থেকে মহাসচিবচ মো. নূর খান বলেন, কমিশন দশ বছর শেষ করেছে। ফলে মানবাধিকারকর্মীদের তার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক। কমিশন মানবাধিকার কর্মীদের আশ্রয়স্থল, সরকারের সাথে মানবাধিকারকর্মীদের সেতুবন্ধন তৈরি করে দেয়া তাদের কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।