মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিরোধী দলীয় এমপি ওং চেন বলেছেন, মুহিদ্দিনের জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাব বিদ্বেষপূর্ণ। তার এই প্রস্তাবকে রাজা যথার্থভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত অথবা ওইসব মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত- যারা তাকে জরুরি অবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন।
রাজনীতির খেলায় বড় রকমের একটি ধাক্কা খেলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুমতি চেয়েছিলেন রাজা আল সুলতান আবদুল্লাহর কাছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজপরিবারগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজা। ফলে মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জোরালো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মালয়েশিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন করে বিস্তার রোধে দেশে জরুরি অবস্থা দেয়ার জন্য রাজার অনুমতি চেয়েছিলেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন। কিন্তু সমালোচকরা তার এমন অনুরোধের পিছনে দেখতে পেয়েছেন রাজনীতি। তাদের যুক্তি তিনি পার্লামেন্টকে স্থগিত রাখার জন্যই জরুরি অবস্থা দেয়ার অনুমতি চেয়েছেন।
পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ বড় এক চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে, এ ভয়ে তিনি জরুরি অবস্থা দিতে চান, যেন তার অধীনে পার্লামেন্ট স্থগিত থাকে এবং তাকে কোনো পরীক্ষায় পড়তে না হয়। এখন রাজা তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার ফলে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের ক্ষমতার মসনদ নড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
কারণ, এক মাস আগে বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম দাবি করেছেন, পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন আছে। ফলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে চান। ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চান মুহিদ্দিন ইয়াসিনকে। এ অবস্থায় রোববার মুহিদ্দিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন রাজা। একই সঙ্গে তিনি রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান, এমন রাজনীতি না করতে- যা সরকারকে অস্থিতিশীল করবে।
কিন্তু অন্য দলগুলো, যারা মুহিদ্দিনের সঙ্গে জোট গঠন করেছে তারা এবং বিরোধীরা দেশে জরুরি অবস্থা আহ্বান করার জন্য মুহিদ্দিনের সমালোচনা করেছেন। তার এ উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাদের অনেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তার জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা উমনো। এর সিনিয়র নেতা আহমদ পুয়াদ জারকাশি বলেছেন, মাননীয় রাজা রাজনৈতিক খেলায় প্রভাবিত হননি।
এ জন্য তাকে ধন্যবাদ। যদি এই খেলায় তিনি সায় দিতেন তাহলে দেশের রাজনীতি আরো জটিল অবস্থায় চলে যেতো। তিনি আরো বলেন, জনগণের কল্যাণই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জন্য মুহিদ্দিনের পদত্যাগ করা উচিত। সুত্র : রয়টার্সের প্রতিবেদন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।