পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৭ এবং ৮ নম্বর পিলারের ওপর ৩৪ নম্বর স্প্যান টু-এ বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ৫ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হল। গত ১৪ দিনে ৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। চলতি মাসে সেতুর আরো ১টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৭টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের। প্রতি সপ্তাহে একটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটারের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের ওপর ৩৪ নম্বর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। গত সপ্তাহে ৩৩ নম্বর স্প্যান বসানোর সময় তীব্র স্রোতে ক্রেন নোঙর করতে না পারায় স্প্যান বসানো এক দিন বিলম্বিত হয়। এবার নির্ধারিত তারিখের একদিন আগে গত শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার তিয়ান-ই ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করে সকাল ১০টায় সফলভাবে বসানো হয়।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ৩০ অক্টোবর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর ৩৫তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, করোনা এবং নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ৪ মাস কাজে ধীর গতি থাকলেও এখন প্রতি সপ্তাহে একটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গত ১৪ দিনে মাওয়া প্রান্তে ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর সাথে সাথে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। পুরো পদ্মা সেতু নির্মাণে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে সø্যাব বসানো হবে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪১টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি স্ল্যাবগুলো বসানো সম্ভব হবে।