গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিগত দেড় বছর থেকে ঢাকার আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় রমরমা জুয়ার আসর বসানো হতো। শুধু তাই নয়, জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক সেবনও করতেন খেলতে আসা জুয়াড়িরা। রবিবার দুপুরে (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়া অবস্থিত র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এক রাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো। তবে বাইরে কেরাম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে হরদম চলতো লাখ টাকার জুয়া খেলা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ ২১ জনকে আটক করে র্যাব-৪ এর একটি দল। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. বিল্লাল (৩৮), মো. জুয়েল (২৮), মইদুল ইসলাম (৩২), সবুজ মিয়া (২৮), মো. শরিফ (২৮), মো. লিটন (৪৫), রবিউল মোল্ল্যা (২৪), আবু তালেব (২০), দিয়াজুল ইসলাম (২০), মো. শিপন (২০), আব্দুল আলিম (৩৫), আজাদুল ইসলাম (৫০), সোহেল মোল্লা (৩২), আসাদুল ইসলাম (৩০), মো. এখলাছ (৩৫), মঈন মিয়া (২৮), মাসুদ রানা (২০), হাবিবুর রহমান (৪৭), রুবেল মিয়া (৩৩), ফজলে রাব্বি (২২) ও রনি ভূঁইয়া (২৫)। অভিযানে সেখান থেকে ১০০ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করে র্যাব।
মোজাম্মেল হক বলেন, আশুলিয়ার জুয়ার আসরে প্রতিরাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো। তবে এখানে খেলতে আসা বেশিরভাগই নিম্নআয়ের মানুষ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে জুয়া খেলা হয়। বাইরে কেরাম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে চলতো জুয়া খেলা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় হাতে-নাতে ২১ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, এ জুয়ার আসরে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলতেন। প্রতিদিন রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ জুয়ার আসরটি জমে উঠতো। জুয়ার আসর কারবার পরিচালনায় প্লাবন হোসাইন ও ওমর ফারুক নামে দুই ব্যক্তির নাম আমরা পেয়েছি। তারা দু’জনই মালিক। অভিযানে সেখানে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।