বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বজলুর রহমান ওরফে বজলুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
বজলুরকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তিটি ৯ টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ ৫ থেকে ৬ টি মাদক কারবারীর প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলেন বজলুর। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় ২০০ টি স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। বিভিন্ন সোর্স তার ছত্রছায়ায় এলাকার ছেলেদেরকে টাকা প্রদান করে বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম যেমন- হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা করে।
শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া বস্তি এলাকায় চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বজলুর রহমান অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি বিকেল ৪টায় স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, ১টি মোবাইল, ভারতীয় ২৫ হাজার জাল রুপি, বাংলাদেশী ৭৫ হাজার জাল টাকা এবং মাদক বিক্রির ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গ্রেপ্তার বজলুর রহমান একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম মূলহোতা ও নিয়ন্ত্রক। সে দীর্ঘ দিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। এছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে।
এছাড়াও গ্রেপ্তার বজলুর এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩ টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সে চনপাড়া বস্তি এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রকৃতপক্ষে চনপাড়া বস্তি নামে বেশি পরিচিত, যেখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। নিম্ন আয়ের মানুষ এই বস্তিতে বসবাস করে যার অধিকাংশই দিন মজুর। বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তিটি ৯ টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ ৫/৬ টি মাদক কারবারীর প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলেন বজলুর রহমান। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় ২০০ টি স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বজলুর রহমান কায়েতপাড়া ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার। সে স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে বজলু ভাই নামে পরিচিত। বিভিন্ন সোর্স তার ছত্রছায়ায় এলাকার ছেলেদেরকে টাকা প্রদান করে বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম যেমন- হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা করে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, কেউ চাঁদা না দিলে তার কপালে নেমে আসত নির্যাতনের ভয়াবহতা। এসব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত এক-দেড় বছরে নিহত হয়েছেন ৬ জন।
উল্লেখ্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধী গ্রেপ্তারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা (র্যাব) চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালালে বজলুর রহমানের নির্দেশে অপরাধীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আক্রমণ করে অপরাধী ছিনিয়ে নেয়ারও অপচেষ্টা চালায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বজলুর রহমান এসব অপরাধের সাথে জড়িত আছে বলে স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।