Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার মেঘালয়ের সব বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’

দাবি খাসি ছাত্র সংগঠনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

এবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের সব বাঙালিকেই ‘বাংলাদেশি’ বলে দাবি করা শুরু হয়েছে। আর এমন দাবি তুলেছে খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ)। এ নিয়ে সেখানে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মেঘালয়ের ইছামতীতে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনের সময় ফেব্রæয়ারিতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে এক খাসি ট্যাক্সি চালকের মৃত্যু হয়। তার জেরে স্থানীয় বাঙালিদের ভয়ে গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় অনেককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

মেঘালয়ের জঙ্গি সংগঠন এইচএনএলসি-ও অবিলম্বে বাঙালিদের রাজ্য ছাড়ার হুমকি দেয়। স¤প্রতি ফের অভিযোগ ওঠে ইছামতীর পুরুষদের এখনও গ্রামে ফিরতে দেয়া, ব্যবসা করতে দেয়া হচ্ছে না। গ্রামে থাকা নারী-শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে। কিন্তু তদন্তে ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্যে নির্যাতনের কথা প্রমাণিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বরাকের আমরা বাঙালি সংগঠন, সিআরপিসি আন্দোলনে নেমেছে। সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সুস্মিতা দেবও মেঘালয়ের বাঙালি নিগ্রহ নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি ও আমরা বাঙালি আসাম-মেঘালয় সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কাছাড় জেলার মালিডহরে গিয়ে শতাধিক মানুষ মেঘালয় সরকারের কাছে বাংলাভাষীদের নিরাপত্তা চেয়ে সেøাগান দেয়। কাটিগড়ায় ধর্ণা দেন যুব কংগ্রেস সদস্যরা। বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মেঘালয়ের রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অভিযোগ করেন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, ছাত্র সংগঠন, জঙ্গি- সবাই একজোট হয়েছে। এরপরই বুধবার মেঘালয়ের সব বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে পোস্টার সাঁটে কেএসইউ। কোথাও লেখা হয়, ‘বাংলাদেশিরা মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম ও মিজোরামে অত্যাচার বন্ধ কর।’

সুস্মিতা দেবকেও মেঘালয়ের ব্যাপারে নাক না-গলাতে সতর্ক করা হয়। সুস্মিতা দেবী সেই পোস্টারের ছবিসহ প্রধানমন্ত্রী ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ট্যাগ করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তো দূরের কথা, মেঘালয়েই এমন ব্যানার! স্বদেশে বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের আরও প্রমাণ লাগে কি?’ পরে পুলিশ গিয়ে সব ব্যনার সরিয়ে ফেলে।

রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সা¤প্রদায়িক বা ভাষিক বিভেদ কখনওই কাম্য নয়। মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাকমেন রিম্বুই বুধবার বলেন, ‘বাংলা ও আসামে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সুস্মিতা দেবী হঠাৎ করে মেঘালয়ের বাঙালিদের ব্যবহার করে খামোকা বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন। এতে কারও ভালো হবে না।’ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বক্তব্য, ‘পরিস্থিতি যাতে খারাপ না-হয় তাই আমরা খাসি ও বাঙালি সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। কেন্দ্রের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।’ সূত্র : এবিপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ