বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শুদ্ধভাবে সালাম দেয়া ও আল্লাহ হাফেজ বলাকে বিএনপি-জামায়াতের মাসয়ালা ও জঙ্গিবাদের চর্চা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের উপসংহার অনুষ্ঠানে ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ বিষয় আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ভিডিওটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সালাম ও আল্লাহ হাফেজ নিয়ে এমন মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা ও নিন্দার তিব্র ঝড়।
মানবাধিকার কর্মী, সমাজ কর্মী ও বিতর্ক সংগঠক কামরুল হাসান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ড. জিয়া রহমান সাহেব সালাম ও আল্লাহ হাফেজকে জঙ্গীবাদের শিক্ষা বলে রীতিমত ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার শাস্তি দাবী করছি!’
ভিডিওটি শেয়ার করে এমডি রুহুল আমিন লিখেন, ‘কত বড় .......! কয়েকটা টিভি চ্যানেল এরকম একজোট হয়ে স্পর্শকাতর বিষয়ে ......দের টকশোতে এনে নাস্তিকতা প্রমোট করতেছে। ইচ্ছা করেই একটা হাঙ্গামা তৈরি করতেছে। আলোচনার খোরাক তৈরি করতেছে কয়েকদিন পরপর....’
হিমেলের প্রশ্ন, ‘ঢাবির প্রফেসরের ইসলামের বিধান নিয়ে এ কেমন ধৃষ্টতা? সুস্পষ্টভাবে সালাম দেওয়া ও আল্লাহ হাফেজ বলাকে নিয়ে কি বললেন ঢাবি প্রফেসর ড. জিয়া রহমান? ইসলাম সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম জ্ঞান নাই, তাদের টকশোতে ডেকে এনে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি?
খায়রুল ইসলাম লিখেন, ‘একটা মানুষ চুড়ান্ত অজ্ঞ হলেই সালাম, আল্লাহ হাফেজ নিয়ে এমন মাতলামিমুলক কথাবার্তা বলতে পারে। ঢাবির মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ পাগলদের জায়গা দেয় কে?’
মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন লিখেন, ‘এরা শিক্ষিত হয়েছে ঠিকই, সুশিক্ষিত হতে পারেনি।’
প্রতিবাদ জানিয়ে আবদুল্লাহ আল মানসুর লিখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফিজ। এভাবেই প্রতিবাদ হোক।’
গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে এইচ এম আলাউদ্দিন লিখেন, ‘শুদ্ধ করে সালাম দেয়া, কথা শেষে আল্লাহ্ হাফেজ বলা জঙ্গিবাদের লক্ষণ - ঢাবি প্রফেসর জিয়া রহমান! জঙ্গীবাদের নামে ইসলাম ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে ওনাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
এটাকে অশনিসংকেত হিসেবে উল্লেখ করে মাসউদ উবায়দুল্লাহ লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়েও যখন এভাবে টেলিভিশনে এসে পাবলিকলি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, ধর্মের অপব্যাখ্যা করছে। তখন বুঝতে হবে এটা জাতির জন্য বড় অশনিসংকেত।’
মোফাজ্জেল হোসাইন লিখেন, ‘দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের প্রতিনিধিরা এমন কথা বলে, কারো সাথে তুলনা করে ঘৃণা করা মুশকিল। লজ্জা শব্দটা ব্যবহার করলে শব্দটা লজ্জা পাবে, প্রতিবাদের/ঘৃণা করার ভাষা নেই। দুনিয়ার সামান্য মোহের জন্য সুশিক্ষার ইজ্জত লুন্ঠন করে এরা। শুদ্ধভাবে সালাম দিয়ে কাউকে দোয়া করলে যদি জঙ্গির লক্ষণ হয়। তবে আল্লাহর গজব ছাড়া তার জন্য হেদায়াত শব্দও ব্যবহার বেঈমানি হবে। আল্লাহর গজব পড়ুক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।