পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় নেতার গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। অভিযুক্ত ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বলে জানা গেছে। ফেনীতে এক উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নেতাকে বরিশালে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভোলা : ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ভেদুরিয়া ইউনিয়নে আমার খালার বাড়িতে বেড়াতে যাই। এ সময় ওই এলাকার মো. রফিক হাওলাদারের ছেলে ও ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মামুন হাওলাদারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর মামুন হাওলাদার আমার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমাকে ফোন করে বিরক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমাকে আরও বেশি বিরক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা চলতে থাকে। গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মামুন আমাকে বিয়ে করার কথা বলে তার খালা মোসা. হাফসা বেগমকে দেখাতে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে হাফসা বেগম আমাদের একটি রুমে রেখে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় ওই রুমের মধ্যে মামুন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমি মামুনকে বিয়ের কথা বললে মামুন টালবাহানা শুরু করে। এরপর আমি বাধ্য হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর মামুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। মামলার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামুমকে এখনও গ্রেফতার করেনি। এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি আমরা তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার সাজ্জাদ হোসেন আগৈলঝাড়া উপজেলার আমবৌলা গ্রামের খোরশেদ আলম গাজীর ছেলে এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার সুবাদে কয়েক বছর ধরে তিনি ঢাকায় থাকেন। তবে দু-এক মাস পরপর তিনি গ্রামের বাড়ি আসেন। কলেজে ভর্তির পর তিনি বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। স¤প্রতি ঢাকার শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী : ফেনীতে এক উপজাতি তরুণীকে (১৮) দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগে রিকশাচালক মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন দোকানের কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীলকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই তরুণী খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। রোববার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সে ওইদিন রাত দেড়টার দিকে ফেনীতে এসে পৌঁছে। তার এক বান্ধবী ফেনী চাড়িপুরে বিসিক এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। সে বিসিকে যাবার জন্য মহিপাল থেকে রিকশাচালক রিয়াজের রিকশায় ওঠে। রিয়াজ তাকে বিসিক যাবার কথা বলে ফেনী পৌর এলাকার ১২নং ওয়ার্ডের মোক্তার বাড়ি এলাকার একটি ঘরে নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষণ করে বলে ওই তরুণী পুলিশকে জানায়।
বিরামপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুর বিরামপুরে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতে বিরামপুর থানায় বাদির অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে বিরামপুর থানায় একটি ধষণ মামলা রজু করা হয়। মামলানং ২৬ তাং ২০-১০-২০২০ইং। বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিরামপুর থানায় সিফাত রানা শুভ এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।