Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের তৈরি করোনা প্রতিষেধক নিরাপদ, জানাল ব্রাজিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৫৬ পিএম

ব্রাজিলে সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালে প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল চীনের করোনাভ্যাক। তাদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি মানবশরীরে প্রয়োগের পক্ষে নিরাপদ বলে জানিয়ে দিল সাও পাওলোর বুতানতান ইনস্টিটিউট। ব্রাজিলের বায়োমেডিক্যাল রিসার্ট সেন্টারগুলির মধ্যে শীর্ষে ওই সংস্থা। তবে চীনের তৈরি প্রতিষেধকটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, তা জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক সংস্থাটি করোনাভ্যাক নামের ওই সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে। তার দু’টি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে দাবি ওই সংস্থার। তৃতীয় পর্যায়ে মানবদেহে সেটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে ব্রাজিলে। ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তাতে অংশ নিয়েছেন। তারই প্রাথমিক রিপোর্টে করোনাভ্যাককে মানবদেহের পক্ষে নিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বুতানতানের ডিরেক্টর দিমাস কোভাস সংবাদমাধ্যনে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যতগুলি প্রতিষেধক পরীক্ষা করে দেখেছি আমরা, তার মধ্যে করোনাভ্যাকই সবচেয়ে নিরাপদ। গুণমানের বিচারেও বাকি প্রতিষেধকের চেয়ে ভাল সেটি।’ তবে মোট ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রতিষেধকটির প্রয়োগ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই তার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব ছাড়া করোনাভ্যাকের প্রয়োগে সে রকম গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন দিমাস। তিনি জানান, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে করোনাভ্যাক প্রয়োগ করার সময় ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবক ব্যথা অনুভব করেছেন। প্রথম ডোজ নেয়ার পর ১৫ শতাংশের মধ্যে মাথাব্যথার সংস্থা দেখা গিয়েছে। মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন ১০ শতাংশ। ৫ শতাংশেরও কম স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ক্লান্তি দেখা গিয়েছে। পেশির যন্ত্রণাও অনুভব করেছেন কিছু মানুষ।

সাও পাওলোর স্বাস্থ্য সচিব জন গোরিনচেতিয়েনের জানিয়েছেন, করোনাভ্যাক প্রয়োগের পর মানবশরীরে ভাইরাস প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষ নাগাদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জনমানসে করোনাভ্যাক প্রয়োগে ছাড়পত্র মিলবে বলে আশাবাদী তিনি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত সিনোভ্যাকের কাছ থেকে করোনাভ্যাকের ৬ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি হয়েছে ব্রাজিলের। এ ছাড়াও, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়াতেও মানবদেহে করোনাভ্যাকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।

করোনার প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্মিলিত ভাবে করোনার যে সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করেছে, চূড়ান্ত পর্যায়ে তার ট্রায়াল চলছে। ফাইজার, মডার্নার তৈরি প্রতিষেধকও চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় আটকে রয়েছে। আগামী মাসে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ