বহু ধর্ষণের ঘটনার ‘মীমাংসা’ হয়ে যায় গ্রাম্য সালিশে। এতে ধর্ষণের শিকার নারী ন্যায়বিচার পায় না। প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে নারীকে কথিত সেই বিচার মেনে নিতে হয়। তাই ধর্ষণ পরবর্তী সালিশ মীমাংসাকে ‘ফৌজদারি’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান রিট করেন। রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি, বিচার শুরুর পর থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটানা বিচার চলার বিধান ও আদেশ কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটের বিষয়ে ইয়াদিয়া জামান জানান, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য দাখিল করা হয়েছে। রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে গত ১০ বছরে সারা দেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে, কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে- তার তথ্য জানানোরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এর বাইরে ধর্ষণের মামলা রুদ্ধদ্বার আদালতে বিচারের বিধান কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।