নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের কারণে ৭ মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ দিয়ে মাঠে ফিরেছে ঘরোয়া ক্রিকেট। সেই থেকে আশার পারদ চড়েছিল তুঙ্গে, শিগগীরই বুঝি মাঠে ফিরছে করোনায় মাঝ পথে স্থগিত হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও জানিয়েছিলেন, স্থগিত থাকা লিগ ফের চালু করার ব্যাপারে তারা আন্তরিক। সেজন্য সিসিডিএমের সঙ্গে মিলে খালেদ মাহমুদ সুজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
তবে দেশের ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় এই লিগ নিয়ে কোন আশার খবর দিতে পারলেন না আবাহনী লিমিটেডের কোচ ও বোর্ড পরিচালক। এমনকি আভাস দিলেন, চলতি বছর আর অসমাপ্ত লিগ শুরুর আর কোনো সম্ভাবনাই নেই! গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে সুজন জানান, চলতি বছরে আর প্রিমিয়ার লিগ চালু সম্ভব না, আগামী বছরের শুরু দিকে হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয় ‘এ বছর তো আসলে সম্ভব না। আমরা শুরু করলে জানুয়ারিতে করতে পারি।’
এ বছর লিগ শুরু না হওয়ার বড় কারণ আরেকটি টি-টোয়েন্টি লিগের পরিকল্পনা। বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ প্রস্তুতিম‚লক টুর্নামেন্ট শেষ হলে ৫ দল নিয়ে একটি কর্পোরেট লিগ দিয়ে ঘরোয়া মৌসুম শুরু কথা জানিয়েছিলেন বোর্ড প্রধান। খালেদ মাহমুদ জানালেন সেকারণেই প্রিমিয়ার লিগের সম্ভাবনা কমে গেছে, ‘টি-টোয়েন্টি লিগটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা নভেম্বরে শুরু করলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হবে। সে পর্যন্ত তো আগে যাই আমরা তার পরে ক্লাবগুলোকে ট্রেনিং করার সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের খেলোয়াড়দের একত্রিত করতে হবে। সে হিসেবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা ১০ তারিখের আগে মনে হয় না সম্ভব হবে।’
প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আরেকটি বাধা অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি। করোনার কারণে যেকোনো ম্যাচ আয়োজনেই বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে বিসিবিকে। চলতি প্রেসিডেন্ট’স কাপ হচ্ছে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে। অংশ নেওয়া সব ক্রিকেটারদেরই রাখা হয়েছে পাঁচ তারকা হোটেলে। প্রিমিয়ার লিগে এতগুলো দলকে এই সুবিধা দিয়ে ম্যাচ খেলানোর বাস্তবতা বিচার করে দেখছে বিসিবি, ‘জিনিসটা আসলে জটিল, খুব কঠিন। এখানে মাত্র ৩ টা দল বায়ো বাবলে থেকে খেলছে, পরবর্তীতে আমরা ৫-৬ টা দল নিয়ে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছি। তারপর প্রিমিয়ার লিগ, আপনি দেখেন ওখানে ১২ টি দল। যদি প্রতিটি দলে ১৫ জন করে প্লেয়ার, কোচ, ম্যানেজম্যান্ট সহ ধরি অন্তত ২০ জন। যেখানে প্রায় ২৭০ জনের মত লোককে একসাথে আবাসনের ব্যবস্থা করার মত জায়গা কোথায় আছে এটা একটা বড় প্রশ্ন আমাদের জন্য। এটা নিয়ে কাজ করছি, বিকেএসপির সাথে কথা বলছি, ওখানে কতজনকে আমরা ব্যবস্থা করতে পারি। এটাই আমরা চেষ্টা করছি, কোথায় করতে পারি, বায়ো-বাবলের ব্যাপার আছে। আমরা যদি সিঙ্গেল লিগও করি আরও ১০ টা করে ম্যাচ বাকি আছে, কতটা সময় লাগবে।’ গত মার্চে শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগ দুই রাউন্ড পরই করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।