Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আজ মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৯ পিএম

সারা দেশের নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, নৌ-শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে আজ মধ্যরাত থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে শুরু হচ্ছে এ ধর্মঘট।

গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নৌযান শ্রমিকরা কাজ করেছেন। অথচ চার মাস পেরোলেও তাঁদের প্রতিশ্রুত খাদ্যভাতা দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকার বা মালিকের পক্ষ থেকে একটি ধন্যবাদও জোটেনি।

১১ দফা দাবি না মানা হলে ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ভারতগামী নৌযানসহ সব ধরনের পণ্যবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।

নৌযান শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো ভারতগামী নৌযানে শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করা, মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ ও নৌযান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধ করা।

নৌযান শ্রমিকরা জানান, মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে খাদ্যভাতা দেওয়ার। অথচ কোনো নৌযান শ্রমিক কোনো রকমের খাদ্যভাতা পাননি। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র হয়নি, কল্যাণ ফান্ড নেই। কেবল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কার্যকর বা বাস্তবায়ন হয় না।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া টেলিফোনে বলেন, এই ১১ দফা দাবি ২০১৮ সালে প্রথমে তোলা হয়। এরপর নৌযান শ্রমিকেরা গতবছর তিনবার এই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। প্রতিবারই সরকার ও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু তাদের ভাগ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জোটেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌযান ধর্মঘট

২৪ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ