বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবীতে দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশে নৌ পরিবহন ধর্মঘটের রেশ ধরে নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলেও নৌ যোগাযোগ মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে। তবে শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রীনলাইন ওয়োটার ওয়েজ-এর ক্যটামেরন ‘এমভি গ্রীন লাইন-৩’ যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে কিছুক্ষণ আগে বরিশালে পৌঁছেছে। ৬শ যাত্রী বহনক্ষম নৌযানটিতে প্রায় সাড়ে ৭শ যাত্রী ভ্রমন করে। দুপুর ৩টায় এমবি গ্রীন লাইন-৩ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে। এলক্ষে বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনালে নৌ পুলিশ ছাড়াও বন্দর এলাকায় বিএমপি’র বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হলেও ঐ দিন রাত ৯টার দিকে বরিশাল ও ঢাকা নদী বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া সবগুলো নৌযানই শণিবার সকালে গন্তব্যে পৌছে। এ ধর্মঘটের ফলে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি রুট ছাড়াও এ অঞ্চল থেকে ঢাকামুখি নৌপথে প্রায় ৭০টি নৌযান বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য ও জ্বালানীবাহী নৌযানগুলোও বন্ধ রয়েছে।
তবে নৌযান ধর্মঘটের এ বিপর্যয়ের মধ্যেও রাষ্ট্রীয় নৌ বানিজ্য প্রতিষ্ঠান, বিআইডব্লিটিসির একমাত্র রকেট স্টিমার সার্ভিসটিও চলছে না চলার মত করেই। সংস্থার ৪টি প্যাডেল হুইল জাহাজের ১টি বিনা দরপত্রে ইজারা দেয়া হয়েছে। অপর তিনটির মধ্যে গড়ে ১টি বিকল থাকছে। বছর চারেক আগে সংগ্রহ করা ২টি স্ক্র-হুইল নৌযানও ছোট-বড় কারিগরি ত্রæটি ছাড়াও বিপুল জ্বালানী ব্যায়ের কারনে অনেকটা বসিয়ে রাখা হচ্ছে। ফলে বেসরকারী নৌযানের এ ধর্মঘটের মধ্যেও সরকারী নৌযানসমুহ যাত্রী দূর্ভোগ লাঘবে তেমন কোন ভ’মিকা রাখতে পারছে না।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মতে দেশ বর্তমানে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানীবাহী নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এরমধ্যে যাত্রীবাহী ১০৬১,পণ্যবাহী ২২১৩, ফেরি ৫০, তেলবাহী ২৬০, টাগ ৮৯, ডাম্ব বার্জ ২১৬, স্পীড বোট ২২৬, ইনেসপেক্শনবোট ৪৪ এবং বালুবাহী ৩৮১১, লোড/আনলোড ড্রেজার ৮৫৭ ছাড়াও অন্যান্য ৬শতাধীক নৌযান রয়েছে। নৌযান শ্রমিকদের এ ধর্মঘটের ফলে যাত্রী,পণ্য ও জ্বালানী পরিবহন ছাড়াও অন্যান্য পরিবহনও মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে। বরিশাল নদী বন্দও এলাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী নৌযনি ছাড়্রা পণ্য ও জ্বালানীবাহী নৌযান নোঙরে রয়েছে। এ ধর্মঘট অবসানে একটি আপোষ রফার লক্ষে দুপুর ৩টায় শ্রম মন্ত্রনালয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।