Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ পদ্মা সেতুতে বসলো ৩৩তম স্প্যান , দৃশ্যমান হলো ৪হাজার ৯৫০মিটার

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৯:২৯ এএম | আপডেট : ২:৫৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

আজ পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে ৩ এবং ৪ নম্বর পিলারের উপর ৩৩ নম্বর স্প্যানওয়ান -সি বসানো হয়েছে। এর ফলে পদ্মা সেতু ৪ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। চলতি মাসে সেতুর আরো ২টি স্প্যান বসানোসহ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী ৯টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের।
আজ সকাল থেকে মাওয়াপ্রান্তে ৩ ও ৪নম্বর পিলারের উপর ৩৩ নম্বর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ৩ হাজার ৬শত টন ধারণক্ষমতার তিয়ান - ই ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে ধূসর রঙ্গের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টনওজনের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের নিকট নিয়ে আসা হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায় , মাওয়াপ্রান্তে বাকী ৮টি স্প্যান আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বসানো হবে। যার মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর ৪১টি স্প্যোন বসানের কাজ শেষ হবে। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। ৩২ নম্বর স্প্যান বসানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৩ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়েছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, করোনাভাইরাস এবং বন্যার কারনে কজের গতি কিছুটা কমলেও এখন দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। চলতিমাসে সেতুর আরো ২টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ।সেতুর ১ ও ২নম্বর পিরারের উপর ওয়ান -এ এবং ২ ও ৩ নম্বর পিলারের উপর ওয়ান -বি স্প্যান মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে।

আগামী ২৫ অক্টোবর ৭ ও ৮ নম্বর পিয়ারের ওপর ৩৪তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ৩০ অক্টোবর ২ এবং ৩ নম্বর পিয়ারের ওপর ৩৫তম বসানো হবে। ৪ নভেম্বর ৩৬তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ দিন অন্তর একটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বাকি পাঁচটি স্প্যানও চলতি বছরই বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৫৫ ভাগ। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৫০ ভাগ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা।

 



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৭ পিএম says : 0
    পদ্ধাসেতু মানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্ব ব‍্যাংক দাতা সংস্থার সাথে চ‍্যালেঞ্জ। এই সেতুর বিশালাকার অর্থের জোগান দাতা বিশ্ব ব‍্যাংক এডিবি কাজশুরুর আগে দুন্নীতির গন্ধপেয়ে মিথ্যে অজুহাতে মাধ্যমে। ষড়যন্ত্রের কারিগরদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পদ্ধাসেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। স্বপ্নের পদ্ধাসেতু হবেনা। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়াতে সরকারের প্রচন্ড সমালোচকদের সমালোচনা। তেজুদীপ্ত বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা এই ষড়যন্ত্র অন‍্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। সাহসী কন্টস্বর ঘোষণা পদ্ধাসেতু হবেই নিজস্ব বাংলাদেশের টাকাই বিশ্বের মানুষ অবাক একি হচ্ছে। বাংলাদেশ কি পারবে?? বাংলাদেশের মানুষের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের কঠিন নির্মম সমালোচনা। সবকিছু জবাব আজ পদ্ধাসেতু দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার অবদান মহান নেতা জাতির পিতার কন‍্যা এই কারণে বিশ্বের দক্ষ প্রভাবশালী নেতাদের একজন। দক্ষিণএশিয়ার প্রভাবশালী নেতা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেক গুলি সুচকে ভারতে হারিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে মর্যাদাবান রাষ্ট্র পরিণত হচ্ছে প্রতিষ্টা পাচ্ছে। আমেরিকা চীন ভারত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কথা বলছে। বিশ্ব মানবতার মা জননী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাকে বাংলাদেশের লক্ষকোটি মানুষের ভালবাসা দোয়া শ্রদ্ধা ও সালাম। বাংলাদেশের রাজনীতির আলো বাতাস হতে হাজার হাজার মাইল দুরে বঙ্গবন্ধুর আরেক কন‍্যা কে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বড়ই প্রয়োজন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন‍্যে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা সেতু

১১ জানুয়ারি, ২০২৩
৩১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ