পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, আমরা যুদ্ধের ময়দানে শত্রুদের আমাদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছি। বিশ্ববাসী আমাদের শক্তি দেখেছে। শনিবার রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি আরও বলেন, আজারবাইজানের মানুষের প্রত্যাশাই আমাদের শক্তির উৎস। এদিকে তুর্কি প্রচার মাধ্যম হেবারতুর্ককে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, আর্মেনিয়া তাদের গ্যাস ও তেলের পাইপ লাইনে আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, আর্মেনিয়া আমাদের পাইপলাইন আক্রমণ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা যদি এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। গত মাসে এমন একটি এলাকা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃতি থাকলেও জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি পরিচালনা করেন। এই সংঘাতে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হন। এর আগে, ফুজুলি শহরসহ দখলকৃত নার্গরনো-কারাবাখের ৭টি গ্রাম আর্মেনিয়ার কাছ থেকে স্বাধীন করেছে আজারবাইজান। শনিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম টুইটারে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ফুজুলি শহর এবং ফুজুলি জেলার দেদলি, ইশিগলি, মুসাবেলি, পিরেহমেদলি, চুভারলি, চিমেন এবং গোচেমেদলি গ্রাম আমাদের গৌররোজ্জ্বল সেনাবাহিনী স্বাধীন করেছে। আজারবাইজানের সেনাবাহিনী দীর্ঘজীবী হউক। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আর্মেনিয়ার হামলার পর দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত আর্মেনিয়ার দখল থেকে বেশকিছু গ্রাম ও শহর স্বাধীন করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। ২৭ সেপ্টেম্বর আজারবাইজানের বসতি এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৯৯১ সালে আজারবাইজানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ভূখন্ড নার্গোনো-কারাবাখ দখলে নেয় আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজারবাইজানের অন্তত ২০ শতাংশ ভূখন্ড গেলো ৩ দশক ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে আর্মেনিয়া। এদিকে, আর্মেনিয়ার এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। শনিবার বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১১ মিনিটের দিকে আজারবাইজানের জাবরাইল শহরের কাছে দেশটির সেনাদের লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলার চেষ্টা করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর রাশিয়ার তৈরি এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমানটি আজারবাইজানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ভূপাতিত করে। এর আগে রাতে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর গানজায় আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় ৪০ জনের বেশি। আজারবাইজানের প্রসিকিউশন জেনারেল অফিস জানায়, দখলকৃত নার্গোনো-কারাবাখ থেকে গানজা এলাকার দূরত্ব বেশ কয়েক মাইল দূরে। আবাসিক এলাকায় আর্মেনিয়ার বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর আজারবাইজানের সাধারণ মানুষের বসতি এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আর্মেনিয়ার হামলার পর দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘাতের পর এ যুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। নার্গোনো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখন্ড। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।