Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘ সাত মাস পর হারামাইন শরীফে নামাজের অনুমতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:৩৮ পিএম

দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে পবিত্র মক্কা-মদিনার হারামাইনে নামাজ আদায়ের অনুমতি দিয়েছে সউদী সরকার। আজ রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, সউদী আরবের নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসরত ব্যক্তিরা এখন থেকে ইসলামের পবিত্রতম এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। খবর আরব নিউজ ও রয়টার্সের।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর প্রথম ধাপে ওমরাহ চালু করে সউদী আরব। দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৬ হাজার মুসলিম ওমরাহ পালন করেছেন। প্রথম ধাপে কারো করোনা সংক্রমণ ঘটেনি বলে জানিয়েছে সউদীর হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
আরব নিউজে এক সাক্ষাৎকারে সউদীর হজ এবং ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন জানিয়েছেন, ওমরাহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ওমরাহ পালনকারীদের নিরাপদ রাখতে এমন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ওমরাহ পালনকারীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। ওমরাহর প্রথম ধাপকে অত্যন্ত সফল হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে শুরু করে ওমরাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ নজর দেয়া হচ্ছে।
ওমরাহ পালনকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং প্রত্যেককে ডিজিটাল ব্রেসলেট দেয়া হচ্ছে। চালু করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। এছাড়া ওমরাহ পালনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ওমরাহর দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম ধাপে দৈনিক ৬ হাজার করে লোক ওমরাহ পালন করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হবে। আর নামাজ আদায় করতে পারবেন ৪০ হাজার মুসল্লি।
তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সউদীর বাইরের মুসল্লিসহ প্রতিদিন ২০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ আর ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাভাবিক সময়ের মতো মসজিদুল হারাম ও নববীতে নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা। করোনার ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়ে গেলে চতুর্থ ধাপ শুরু হবে। এ ধাপে পবিত্র কাবা শরিফ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।
ওমরাহ পালনকারীরা কাবা চত্বরে তাওয়াফ সম্পন্ন করলেও হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুম্বনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাবা শরিফের বাইরে অস্থায়ী প্রাচীরের বাইরে থেকে তাওয়াফ সম্পন্ন করছেন তারা। পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরিফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন ১০ বার জীবাণুমুক্ত করার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এতোদিন সেখানে মুসল্লিদের জন্য নামাজ আদায়ের অনুমতি ছিলো না। এর আগে সাত মাস পর অক্টোবরের গোড়ার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উমরাহ পালনের অনুমতি দেয় সউদী আরব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হারামাইন শরীফ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ