Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি স্থায়ী রূপ লাভ করায় দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। করোনা সঙ্কটে নির্ধারিত আয়ের মানুষগুলোর সংসার চালানো ক্রমে অসম্ভব হয়ে পড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। পেঁয়াজের কেজি ৮৫-৯০ টাকায় বৃদ্ধি পেয়ে স্থায়ীরূপ লাভ করলেও তা নিয়ে সব অলোচনা আর সরকারি তৎপড়তা স্তিমিত হয়ে পড়ার মধ্যে দিয়েও গত ১৫ দিনে গোল আলুর দামও এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

জানা যায়, চাল আর সয়াবিন তেলের দামও দফায় দফায় বাড়লেও নিত্যপণ্যের এ লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখন আর কোনো মহলের হেলদোল নেই। এমনকি বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা সদরে টিসিবি অতি সীমিত আকারে কিছু পেঁয়াজ আর ভোজ্যতেল বিক্রি করতো। কিন্তু মজুদ সঙ্কটে গতকাল বুধবার তা আরও সীমিত করা হয়েছে।
এর আগে মাথাপিছু ১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছিল রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থাটি। ফলে ট্রাক খুজে এক কেজি পেঁয়াজে কেনার আগ্রহ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যায়নি। বাজারেও কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। দুদফার প্রকৃতিক দূর্যোগে শীতকালীন আগাম শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এসব পণ্যের দামও আকাশ ছোঁয়া। ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি মিলছে না।
দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখন আর আমদানিকৃত কোনো পেঁয়াজ নেই। স্থানীয় জাতের পেঁয়াজের কেজি ৮৫-৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আমদানিকৃত কোনো পেঁয়াজ না থাকলেও দেশি পেঁয়াজের সরবারহে কোনো ঘাটতি নেই। মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার টিসিবি’র বরিশাল ডিপো থেকে ডিলারদের পেঁয়াজ সরবারহ আরও সীমিত করা হয়েছে। এখনও রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থাটি পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রে আরও গণমুখী হতে না পাড়ার সাথে সরবারহ ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে দিচ্ছে। তবে বুধবার বিকেলের মধ্যেই বরিশাল ডিপোতে পেঁয়াজ পৌঁছার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে দেশি রসুন ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও চীনা রসুনের কেজি দেড়শ টাকার ওপরে। দেশি ছোট আদার কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হলেও আমদানিকৃত চীনা আদা আড়াইশ টাকা কেজি। খুচরা সয়াবিন তেলের দামও লিটার প্রতি ১০-১২ টাকা বেড়ে এখন ১শ টাকার ওপরে। প্যাকেটজাত তেলের দামও প্রতি লিটারে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে, চালের বাজারেও অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। গত একমাসে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত।
মোটা স্থানীয় জাতের চালের কেজি ৪২ টাকার ওপরে। মধ্যম মানের মিনিকেট চাল ৫৫ টাকা কেজি। মে মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর পরে আগস্টে ভাদ্রের অমাবশ্যায় ভর করে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর বন্যায় দক্ষিণাঞ্চলে সব আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সাথে গোল আলুর অগ্নিমূল্য মানুষের দূর্ভোগের মাত্রাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাজার সরবারহ ঘাটতির পাশাপাশি এখন ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ