পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববাজারে হাজার কোটি ডলারের বিলেট রফতানির সম্ভাবনা কড়া নাড়ছে। চট্টগ্রাম থেকে প্রায় এক কোটি ডলারের বিলেট যাচ্ছে চীনে। আগামী নভেম্বরে জিপিএইচ ইস্পাতে উৎপাদিত ২৫ হাজার টন বিলেটবাহী জাহাজ নোঙর করবে চীনের বন্দরে। চীনে বিলেট রফতানি দেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রফতানি অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাক খাতের মতো স্টিল রফতানিও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় খাত হয়ে উঠবে। উন্নয়নের সাথে স্টিলের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি ডলারের স্টিলের বাজার রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে এই বাজারের একটি অংশ বাংলাদেশের হাতের নাগালে আসার সুযোগ রয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় প্রায় ৪শটি স্টিল মিল রয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা প্রায় ৮০ লাখ টন। স্টিলের বৃহৎ কারখানাগুলো চট্টগ্রামে এবং দেশের মোট ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় এখানে। বিভিন্ন কারখানা সর্বাধুনিক নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্টিল পণ্য উৎপাদন করছে। মানসম্পন্ন স্টিল উৎপাদনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। দেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ এবং মানসম্পন্ন স্টিল উৎপাদন পুরো সেক্টরকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বর্তমানে ইস্পাত সেক্টরে বার্ষিক টার্নওভার ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
স্টিল খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে চাহিদা মিটিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার স্টিল বিদেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টিল সেক্টরকেও তৈরি পোশাক খাতের মতো রফতানি বাণিজ্যের একটি বড় খাত হিসেবে গড়ে তোলা যায়। জিপিএইচ ইস্পাত বার্ষিক দশ লাখ টন স্টিল উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এই কারখানা চলতি অর্থবছরে অন্তত এক মিলিয়ন ডলারের স্টিল রফতানির লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তারা বলেন, প্রথম দফায় এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ২৫ হাজার টন বিলেট রফতানি করতে যাচ্ছে জিপিএইচ ইস্পাত। চীনের জিয়াংগিন বন্দরে পণ্যগুলো পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২০০৮ সালে জিপিএইচ আড়াই হাজার টন বিলেট রফতানি করেছিল চীনে। পৃথিবীব্যাপী স্টিলের বাজার রয়েছে। এই বাজার ধরার সুযোগও অবারিত। বিশ্বের বাজার ধরাটাই এখন আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই বাজার দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান জিপিএইচের কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।