Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে আছেন

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ১:১২ পিএম

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি স্থায়ী রূপ লাভ করায় দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ যথেষ্ট কষ্টে আছেন। করোনা সংকটে জেরবার নির্ধারিত আয়ের মানুষগুলোর সংসার চালানো ক্রমে অসম্ভব হয়ে পড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। পেঁয়াজের কেজি ৮৫-৯০ টাকায় বৃদ্ধি পেয়ে স্থায়ীরূপ লাভ করলেও তা নিয়ে সব অলোচনা আর সরকারী তৎপড়তা স্তিমিত হয়ে পড়ার মধ্যেই গত ১৫ দিনে গোল আলুর দামও এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছেছে।

চাল আর সয়াবিন তেলের দামও দফায় দফায় বাড়লেও নিত্যপণ্যের এ লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখন আর কোন মহলের হেলদোল নেই। এমনকি বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা সদরে টিসিবি যে অতি সিমিতাকারে কিছু পেয়াঁজ আর ভোজ্যতেল বিক্রী করত মজুদ সংকটে বুধবার তা আরো সিমিত করা হয়েছে। এর আগে মাথাপিছু ১ কেজি পেয়াঁজ বিক্রী করছিল রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি। ফলে ট্রাক খুজে এক কেজি পেয়াঁজে কেনার আগ্রহ বেশীরভাগ মানুসের মধ্যেই লক্ষ করা যায়নি। বাজারেও কোন ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। দু দফার প্রকৃতিক দূর্যোগে শীতকালীন আগাম শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এসব পণ্যের দামও আকাশ ছোয়া। ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি মিলছে না।

দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখন আর আমদানীকৃত কোন পেয়াঁজ নেই। স্থানীয় জাতের পেয়াঁজের কেজি ৮৫-৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী হচ্ছে। তবে বাজারে আমদানীকৃত কোন পেয়াঁজ না থাকলেও দেশী পেয়াজের সরবারহে কোন ঘাটতি নেই। মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার টিসিবি’র বরিশাল ডিপো থেকে ডিলারদের পেয়াঁজ সরবারহ আরো সিমিত করা হয়েছে। এখনো রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি পেয়াঁজ বিক্রীর ক্ষেত্রে আরো গনমুখি হতে না পাড়ার সাথে সরবারহ ঘটতি পরিস্থিকে আরো নাজুক করে দিচ্ছে। তবে বুধবার বিকেলের মধ্যেই বরিশাল ডিপোতে পেয়াঁজ পৌছার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে দেশী রসুন ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রী হলেও চীনা রসুনের কেজি দেড়শ টাকার ওপরে। দেশী ছোট আদার কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রী হলেও আমদানীকৃত চীনা আদা আড়াইশ টাকা কেজি। খুচরা সয়াবিন তেলের দামও লিটার প্রতি ১০-১২ টাকা বেড়ে এখন ১শ টাকার ওপরে। প্যকটজাত তেলের দামও প্রতি লিটারে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এদিকে চালের বাজারেও অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। গত একমাসে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। মোটা স্থানীয় জাতের চালের কেজি ৪২ টাকার ওপরে। মধ্যম মানের মিনিকেট চাল ৫৫ টাকা কেজি। মে মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’এর পরে আগষ্টে ভাদ্রের অমাবশ্যায় ভর করে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর উজানের বণ্যার পানির প্লাবনে দক্ষিণাঞ্চলে সব আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সাথে গোল আলুর অগ্নিমূল্য মানুষের দূর্ভোগর মাত্রাকে আরো বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাজার সরবারহ ঘাটতির পাশাপাশি এখন ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিত্যপণ্যে

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ