পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৃত্যুদন্ড নয়, ধর্ষণ রুখতে প্রত্যেকটি ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন। গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক এম এইচ রিয়াদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতাদের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন “বিচারহীনতার সংস্কৃতি সমাজে অপরাধ প্রবণতাকে উস্কে দেয়। সমাজে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায় যখন সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়। আমরা গত একদশক ধরে দেখছি, বাংলাদেশে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার কিভাবে এখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে।”
তারা আরো বলেন, “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অন্যতম শর্ত হচ্ছে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরী করে এবং তাদের বিভিন্ন রকম অসৎ সুযোগ সুবিধা দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে মাঠে রাখা।
ছাত্রলীগের সমালোচনা করে তারা বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের দলীয় অনুগত ছাত্রলীগকে কার্যত লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রায় প্রত্যেকটি ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ দলীয় লোকজনের যুক্ততা আছে। সিলেটের এমসি কলেজ, নোয়াখালীর এখলাসপুরসহ বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ধর্ষণের ক্ষেত্রেই শতকরা ৫ ভাগেরও কোন বিচারের নজির আমরা দেখছি না। যদি প্রত্যেকটি ধর্ষণের যথাযথ বিচার ও তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎসকে আমরা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারতাম তাহলে দেশে আজ ধর্ষণের মতো অপরাধ কমতে থাকতো।
ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মনে করি, মৃত্যুদন্ড নয়, ধর্ষণ রুখতে প্রত্যেকটি ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দেয়া বন্ধ করতে হবে। ধর্ষক, খুনী, দুর্নীতিবাজসহ কোনো অপরাধীই যে বিনা বিচারে পার না পায় তার দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। একইসাথে ধর্ষকের রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির দরুন ধর্ষণের মনস্তত্ত্ব সমাজে টিকে থাকে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তনে লিঙ্গীয় পরিচয় নির্বিশেষে সকল মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।