পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবা-মায়ের সম্পর্কের অবনতির পর ফরিদপুরে খালার সঙ্গে বসবাস করতো শিশু মাহিয়া আক্তার পিংকি (১৩) ও মো. বিপ্লব বেপারী (১০)। গøাস ভাঙার জেরে বকা খেয়ে খালার বাড়ি থেকে দাদার বাড়িতে রওনা দেয় তারা। কিন্তু পথ ভুলে রাজধানী ঢাকায় এসে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখজির পর তাদের না পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুদের খালা সালেহা বেগম। অবশেষে ২০ সেকেন্ডের মাত্র একটি ফোনকলের সূত্র ধরে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি আবদুল্লাহ হেল বাকী।
তিনি আরো বলেন, এ দুই শিশুর মা গত এক বছর ৫মাস ধরে জর্ডানে কাজ করছেন। বাবা-মার মধ্যে খারাপ সম্পর্ক থাকায় তারা খালার বাড়িতে থাকতো। কিন্তু গøাস ভাঙা নিয়ে খালা বকা দেয়ায় তারা দুই ভাই বোন খালার বাস থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দাদার বাড়িতে যাওয়ার। কিন্তু পথ হারিয়ে তারা ঢাকা চলে আসে। পরে সম্ভাব্য পাচার হওয়ার আগে রাজধানীর ভাটারা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির সিনিয়র এএসপি আমিনুল হক বলেন, থানা পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি অবগত হয়ে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। শিশু দু’টি রাজধানীর কোনো এক মোবাইল ফোনের দোকান থেকে তাদের বাবাকে ফোন দিয়ে শুধু বলে আব্বু আব্বু। কলটির সময় ছিল মাত্র ২০ সেকেন্ড। পরে সেই কলের সূত্র ধরে আমরা শিশু দু’টিকে খুঁজতে থাকি। পরে একদিন এ দুই শিশু গুলশান মোড়ে বসে কান্না করছিল, সেই সময় এক রিকশাচালক তাদের তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রিকশাচালক শিশুদের কাছ থেকে তার বাবার নম্বর নিয়ে ফোন দিয়ে ‘আপনার বাড়ি কী ফরিদপুর’, বলেই ফোন রেখে দেয়। এরপর থেকে ওই রিকশাচালকের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ফোনকলের সূত্র ধরেই আমরা তদন্ত শুরু করা হয়। পরে টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে রিকশাচালকের ফোন কল ট্র্যাকিং করে রাজধানীর ভাটারা থেকে এ দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা ওই রিকশাচালক প্রথমে মানবিক কারণে শিশু দু’টিকে তার বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরে তার মনে হয়তো তাদের পাচার করার চিন্তা আসে সেজন্য নিজের ফোন বন্ধ করে ফেলেন। আর সম্ভাব্য পাচারের আগেই আমরা তাদের উদ্ধার করি। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত চলছে, পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।