পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে প্রথমবারের মতো মেরুদন্ডের অংশে জোড়া লাগানো দুই শিশু নুহা ও নাবাকে আলাদা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জটিল ও স্পর্শকাতর এই অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। এই দুই শিশুর চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিশু দুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সভা শেষে, সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নুহা ও নাবার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসার সব খরচ বহন করছেন এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য যা যা করার, তাই যেন আমরা করি। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কারো সহযোগিতা লাগলে তাকেও ডাকা হবে। সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শিশু দুটির চিকিৎসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ। বেশ কয়েক ধাপে এর অপারেশন করা লাগবে। নিউরো সার্জন, ইউরোলজিস্টস, শিশু সার্জন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন, এনেস্থিওলজিস্ট, শিশু পুষ্টিবিদসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে।
এ সময় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও বিএসএমএমইউর উপাচার্যের আমন্ত্রণে মেডিক্যাল বোর্ডে এসে শিশু দুটির কেসস্টাডি দেখে বুঝতে পারলাম, তাদের অপারেশন অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এই অপারেশন বেশ কয়েক ধাপে করতে হবে।
বিএসএমএমইউয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে ভর্তি থাকা মেরুদন্ড জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাবার বয়স ৮ মাস ১৩ দিন। শিশু দুটির বাবা কুড়িগ্রামের আলমগীর রানা, পেশায় পরিবহণ শ্রমিক। এই যমজ শিশু দুটির মেরুদন্ড ও স্পাইন জন্মগতভাবে জোড়ালাগা। দরিদ্র বাবা-মায়ের পক্ষে এই ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচারের ব্যয় বহন করা অসম্ভব। তাই এখন পর্যন্ত তাদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এই যমজ শিশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি সভা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ মেরুদন্ড জোড়ালাগা যমজ শিশুর চিকিৎসায় ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে বোর্ডে পেডিয়াট্রিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জারি, অ্যানেসথেশিয়া, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।