বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোন গনপিটুনির ঘটনা ঘটেনি সিলেটের কাষ্টঘরে। সুস্থ অবস্থায় রায়হান ও আরও এক জনকে ধরে এনেছিল পুলিশ। তারা দু’জন পুলিশের তাড়া খেয়ে নিজেকে বাঁচাতে কাস্টঘর এলাকার সুইপার কলোনির সুরাইলালের ঘরে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সুরাইলাল।
সুরাইলাল আরো জানায়, ‘রাত আনুমানিক ৩ টা। এসময় বাইরে থেকে কেউ আমার ঘরের দেয়ালে ধাক্কাচ্ছে আর দরজা খোলার জন্য ডাকছে শুনে আমি দরজা খুলি। দরজা খুলতে না খুলতে দুইজন মানুষ আমার ঘরের ভিতরে ঢুকে গেছে এর পিছনেই পুলিশ এসেছে। এসে তাদের ধরে নিয়ে গেছে। এই দুইজনের একজন রায়হান। আর অন্য একজন কে তা জানি না। এসময় কোন গণপিটুনি হয়নি। কেন ধরে নিয়ে গেছে জানি না তাও।’
প্রত্যক্ষদর্শী সুরাইলালের ভাষ্যমতে রায়হান সহ আরও একজনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ধরে আনা হলেও মেট্রোপলিটন পুলিশ এখনো এটিকে কর্তব্যে গাফিলতি হিসেবেই বিবেচনা করছে। তারা নির্যাতনে মৃত্যু বলতে নারাজ। এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার জানান, ‘আপাতত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের গাফিলতি থাকায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে,’ প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য যেখানে রায়হানকে সুস্থ অবস্থায় ধরে আনা হয়েছে সেখানে তার মৃত্যুতে এখনও কেন কেবল গাফিলতিটাকেই বিবেচনা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আছে। আমি আপাতত কিছু বলতে চাইছি না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল সারে ১০ টার দিকে প্রথমে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ‘ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে’ বলে জানানো হলেও পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ‘পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে’ বলে অভিযোগ উঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।