পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রোববার রাতে রাজধানী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান গত রোববার তাদের চার নেতাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করে।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের ডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঢাবির এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলার চার নম্বর আসামি মো. সাইফুল ইসলাম ও পাঁচ নম্বর আসামি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের যে কর্মী আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল সেই মামলার আসামি হিসেবে নাজমুল এবং সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, সাইফুল ও নাজমুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জেনেছি। কিন্তু এখনো আমাদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ : বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। এর প্রতিবাদে গতকাল শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন তারা। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ পূর্ববর্তী এক সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, তাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি কমিটির সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. রাশেদ খান বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সবাই খারাপ না। আমরা অনেক মানবিক পুলিশ অফিসার দেখি। কিন্তু ঘুম খুন, নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত আমরা তো তাদের সমালোচনা করতেই পারি। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের পুলিশ বিদ্বেষী ভাববেন না, আমাদেরকে সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতা করুন। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মী ছাড়াও গ্রেফতারকৃত পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রেস ক্লাব অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই ৫ জনের কোনো খোঁজ পাননি জানিয়ে নুর বলেন, ধারণা করছি সবাইকেই ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। তাই ঘটনার পরপরই আমরা শাহবাগ ও লালবাগ থানায় খোঁজ নিয়েছি, ডিবি কার্যালয়েও গিয়েছি। বরাবরের মতো এবারও তারা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জানিয়ে নুর বলেন, সবাই ভীষণ আতঙ্কে আছেন। গতকাল তাদের পরিবারের সদস্যরা আমার বাসায় এসেছিলেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু আমি তাদের কোনো সান্ত্বনা দিতে পারিনি। আমার বাসার আশপাশে আগে থেকে প্রায়ই অপরিচি লোকজনের আনাগোনা দেখতাম। এখন আরও বেশি বেশি দেখছি। এতে আশঙ্কা হচ্ছে- আমাকেও তুলে নিতে পারে, গুম হয়ে যেতে পারি, বলেন নুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।