পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু আইন কঠোর করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আইন কাগজের মধ্যে থাকলে চলবে না, আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে আইনের দৃষ্টিতে জনগণকে সুরক্ষা দিতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে। আইন প্রণয়নের চেয়ে আইনের প্রয়োগটাই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জাসাস ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ধর্ষণের অপরাধের শাস্তি যদি মৃত্যুদন্ড হয়, তাহলে কি কালকে থেকে এই অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে? বন্ধ হবে না। দেশে এখন আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই, সে কারণেই অপরাধ বাড়ছে। ক্রিমিনাল কোডে লেখা আছে- কতটুকু অপরাধের জন্য কতটুকু শাস্তি। আইনের শাসন থাকলে কিন্তু আমরা সেই ক্রিমিনাল কোড প্রয়োগ করতে পারি। আইনের শাসন নাই বলেই প্রশাসনের জবাবদিহিতা নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। বিচার বিভাগ স্বাধীন সংবাদপত্রের মতো, কিন্তু বিচারকরা স্বাধীন না। এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তাকে কিভাবে দেশ ছেড়ে যেতে হল! ধর্ষণ বন্ধে সব নাগরিককে সমস্বরে আওয়াজ তোলার আহবান জানান গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, চিৎকার দিয়ে বলতে পারেন- ‘স্টপ জেনোসাইড’। স্টপ জেনোসাইড মানে যে, আমার মা-বোন-শিশু যে যেখানে আছে, তাদেরকে আমি নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা দিতে চাই। আজকে গোটা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ধর্ষিত। একদিকে আাপনি দেখছেন, নারী শিশুদের নির্যাতনের মহোৎসব, অন্যদিকে দেখছেন লুটপাটের মহোৎসব। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাসাসের সভাপতি প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, জাসাস নেতা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, শরীফ মাহমুদুল হক, আরিফুর রহমান মোল্লা, জাকির হোসেন রোকন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।