Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আদেশদানকারী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল

শিশু ধর্ষণের মামলায় চার শিশু সংশোধনাগারে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের কথিত অভিযোগে অপর চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশদাতা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।

গতকাল রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল বাকেরগঞ্জে ৬ বছরের শিশু ধর্ষিত হয়। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রচলিত আদালতে বিচার না করে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন এনায়েত উল্লাহ। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আদালতের দৃষ্টি আসে। আদালত ঘটনার ব্যখ্যা দিতে তলব করেন। এ সময় অভিভাবকসহ চার শিশুর অভিভাবক এবং বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে হাইকোর্টে উপস্থিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশে করে আদালত বলেন, আপনি কি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাকি সিলমারা অফিসার? মামলাটির ওপর আপনি ‘দেখিলাম’ সিল মেরে দিলেন! এটা কোন ধরনের ম্যাজিস্ট্রটের কাজ? জুডিশিয়াল অফিসার হিসেবে কাজটি কি ঠিক করেছেন? আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কত সালের এবং ধারা কয়টি তা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানতে চান। পরে এনায়েত উল্লাহ নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে চার শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শিশু সংশোধনাগারে পাঠিয়েছিলেন এনায়েত। পরে আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য করেন ২২ নভেম্বর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ