নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের আসরের চার ম্যাচে কোনো জয় নেই। এবার প্রথম দুই ম্যাচেও ড্র। উয়েফা নেশন্স লিগে জয় যেন জার্মানির জন্য হয়ে উঠেছিল সোনার হরিণ! অবশেষে খুলেছে গেরো। ইউক্রেনকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো প‚র্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। গতপরশু রাতে ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রæপে কিয়েভে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। জার্মানদের হয়ে দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন মাথিয়াস গিন্টার ও লিয়ন গোরেটস্কা। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের পক্ষে ব্যবধান কমান রুসলান মালিনোভস্কি।
ম্যাচে ৭২.৯ শতাংশ সময়ে বল নিজেদের দখলে রাখার পাশাপাশি সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল জার্মানি। মোট ১৭টি শট নেয় সফরকারীরা, যার ১২টিই ছিল লক্ষ্যে। একদম শুরুতে ইউক্রেন তেজ দেখালেও পঞ্চম মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় জার্মানি। তবে সার্জ জিনাব্রি ইউক্রেনের গোলরক্ষক গিওর্গি বুশচান বরাবর শট মেরে তা নষ্ট করেন। এগিয়ে যেতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি জার্মানদের। ২০তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সের ভেতরে অ্যান্টোনিও রুডিগারের ক্রসে জিনাব্রি ফ্লিক করতে ব্যর্থ হলেও তার পেছনে ফাঁকায় দাঁড়ানো গিন্টার সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। ৩১তম মিনিটে জশুয়া কিমিচের দূরপাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বুশচান। চার মিনিট পর গিন্টারের ক্রসে গ্যানাব্রির হেড অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন তিনি। ৪৩তম মিনিটে টনি ক্রুসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
আক্রমণে চাপ ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় জার্মানি। কিন্তু এতে দায় আছে প্রথমার্ধে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো বুশচানের। ডান প্রান্ত থেকে লুকাস ক্লসটারমানের ক্রস ঠিকভাবে হাতে জমাতে পারেননি স্বাগতিক শট-স্টপার। আলগা বলে হেড করে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি গোরেটস্কাকে।
৫০তম মিনিটে ফের ইউক্রেনের ত্রাতা বুশচান। ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের নিচু শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। সাত মিনিট পর জোড়া সেভ করে স্বাগতিকদের বড় হার থেকে বাঁচান তিনি। ৭৬তম মিনিটে মালিনোভস্কির সফল স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় ইউক্রেন। ডি-বক্সে রোমান ইয়ারেমচুককে নিকলাস সুলে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিলেও ৮২তম মিনিটে ফের গোল হজম করতে পারত স্বাগতিকরা। তবে ফের গ্যানাব্রিকে হতাশ করেন বুশচান।
একই রাতে সুইস গোলরক্ষকের ভুলে স্বস্তির জয় পেয়েছে স্পেন। ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপে নিজেদের মাঠ আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল। ম্যাচের তখন চতুর্দশ মিনিট। বল ক্লিয়ার না করে ডি-বক্সে নিজেদের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া করছিলেন সফরকারী সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে মহাবিপদ ডেকে আনেন ইয়ান সোমার। সুইজারল্যান্ডের এই গোলরক্ষকের পাসের নাগাল পাননি সতীর্থ গ্রানিত জাকা। উল্টো বল পেয়ে যান স্পেনের মিকেল মেরিনো। তিনি খুঁজে নেন ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মিকেল ওইয়ারজাবালকে। বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন তিনি। ওই গোলই গড়ে দিয়েছে খেলার ভাগ্য। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটিতে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। বল দখলে এগিয়ে থাকা স্প্যানিশরা ১২টি শট নিলেও মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, স্বাগতিকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাওয়া সুইসরা শটই নেয় মোটে চারটি। লক্ষ্যে ছিল একটি।
৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জার্মানি। তিনে থাকা ইউক্রেনের অর্জন ৩ পয়েন্ট। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। চতুর্থ রাউন্ডে আগামীকাল ঘরের মাঠে সুইসদের মোকাবিলা করবে জার্মানি। একই দিনে স্পেনকে আতিথ্য দেবে ইউক্রেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।