নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সরাসরি সেটে হারের দ্বারপ্রান্ত থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন স্তেফানোস সিৎসিপাস। কাঁপন ধরালেন নোভাক জোকোভিচের বুকে। শেষ সেটে অবশ্য আর লড়াই করতে পারেননি গ্রিক তারকা। পাঁচ সেটের ম্যারাথন লড়াইয়ে জিতে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। গতপরশু প্যারিসের রোলাঁ গারোঁয় পুরুষ এককের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৬-৩, ৬-২, ৫-৭, ৪-৬, ৬-১ গেমে জেতেন জোকোভিচ। আজকের ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতাটিতে রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল।
প্রথম দুই সেট জয়ের পর তৃতীয় সেটে ৫-৪ গেমে এগিয়ে ম্যাচ নিশ্চিত করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। খাদের কিনারা থেকে টানা তিন গেম জিতে লড়াইয়ে ফেরেন সিৎসিপাস। হার না মানা মানসিকতা আর প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতে নেন চতুর্থ সেটও। পঞ্চম সেটে ভুগতে দেখা যায় ক্লান্ত হয়ে পড়া ২২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে। শুরুর ছন্দে ফিরে চার ঘণ্টার একটু বেশি সময়ের লড়াইয়ে জিতে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করলেন সার্বিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে জোকোভিচের কথায়ও ফুটে ওঠে সিৎসিপাসের শেষের ক্লান্তির কথা, ‘স্তেফানোস দারুণ এক খেলোয়াড়। তবে চার ঘণ্টার পর সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এমন ম্যাচ খেলার জন্য তার প্রশংসা প্রাপ্য।’
চলতি বছরের অপরাজেয় পথচলা বজায় রইলো জোকোভিচের। তবে ২০১৬ সালে ফরাসি ওপেন জিতে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম পূর্ণ করা এই তারকা গত ইউএস ওপেনে শেষ ষোলোর ম্যাচে দুর্ঘটনাক্রমে লাইন জাজকে বল দিয়ে আঘাত করে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন।
জোকোভিচের চার ঘণ্টা আগে দিনের আরেক সেমিফাইনালে জিতে পুরুষ এককে রজার ফেদেরারের সর্বোচ্চ ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করার খুব কাছে পৌঁছে গেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। গত মাসে ইতালিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার-ফাইনালে নাদালকে সরাসরি সেটে হারিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার দিয়েগো শয়ার্টসমান। এবার পাত্তা পেলেন না তিনি। প্যারিসের রোলাঁ গারোঁয় শুক্রবার প্রথম সেমি-ফাইনাল ৬-৩, ৬-৩, ৭-৬ (৭-০) গেমে জেতেন প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন নাদাল। আসরে এখনও কোনো সেট হারেননি এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা এই তারকা। রোলাঁ গারোঁয় সেমি-ফাইনালে কখনও না হারার রেকর্ড ধরে রাখলেন নাদাল। ফাইনালেও হারের রেকর্ড নেই তার, জিতেছেন আগের ১২ ফাইনালের প্রতিটিতেই। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে এ নিয়ে নবমবারের মতো মুখোমুখি হবে জোকোভিচ ও নাদাল। এবার কারো এগিয়ে যাওয়ার পালা, আগের আট ফাইনালে তারা জিতেছেন চারবার করে।
ক্লে কোর্টের রাজার সামনে ফাইনালে আধিপত্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। জোকোভিচের লক্ষ্য নাদালের আধিপত্য ভেঙে দ্বিতীয়বার মুকুটটি মাথায় তোলার। মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য কিছুটা এগিয়ে আছেন জোকোভিচ। ৫৫ বারের দেখায় ২৯ বার জিতেছেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলে ফাইনালে দুজনের দেখা হয়েছে ২৬ বার; সেখানেও ১৫ জয় নিয়ে এগিয়ে জোকোভিচ। জয়ের সংখ্যাটাকে এবার দুই অঙ্কে নিতে পারলেই পুরুষ এককে রেকর্ড ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী রজার ফেদেরারের পাশে বসবেন ৩৪ বছর বয়সী নাদাল। নাদালের বিপক্ষে শিরোপা লড়াই কতটা কঠিন হবে, জানেন জোকোভিচ। তবে প্রেরণার কোনো কমতি নেই তার, জানালেন ৩৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়, ‘এটা রাফার রাজত্ব। কারণ সে এখানে অনেকবার জিতেছে। আমাকে সেরা টেনিস খেলতে হবে। কারণ রোলাঁ গারোঁয় রাফার বিপক্ষে খেলাটাই হয়তো সর্বোচ্চ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।