পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের মিডিয়াগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নজিরবিহীন এক চিঠি পাঠিয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস। ওই চিঠিতে সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যেন দিল্লির অনুসৃত ‘এক চীন’ নীতি থেকে বিচ্যুত না হয়। তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের মাত্র দিন তিনেক আগে ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে এ চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নেয় দিল্লির চীনা দূতাবাস। এতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে যেন কিছুতেই একটি আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করা না হয়। তাইওয়ানের নেতাকেও যেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা না হয়।
গত কয়েক মাস ধরেই ভারত-চীন সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা চলছে। জুন মাসে লাদাখে চীনা বাহিনীর হাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এর মধ্যেই এই প্রথমবারের মতো চীনের পক্ষ থেকে ভারতীয় মিডিয়াকে এই ধরনের চিঠি দেওয়া হলো। দিল্লিতে চীনা দূতাবাসের প্রেস সেকশন থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাইওয়ান ‘চীনের সার্বভৌম ভ‚খÐের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ প্রতি বছরের ১০ই অক্টোবর তাইওয়ান তাদের জাতীয় দিবস পালন করে থাকে। ১৯১১ সালের এই দিনটিতেই সেখানে য়ুচাং সশস্ত্র অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল, যার মাধ্যমে চিং রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ‹রিপাবলিক অব চায়না›র জন্ম হয়। তাইওয়ানের সেই জাতীয় দিবস উদযাপনের ঠিক তিন দিন আগে, বুধবার ভারতের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের কর্ণধার বা সাংবাদিকরা চীনা দূতাবাসের কাছ থেকে ওই চিঠি পেয়েছেন।
কয়েকমাস আগেই ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং-ও ভারতীয় মিডিয়াকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছিলেন, তারা যেন ভারতকে ‘এক চীন’ নীতির পুনর্বিবেচনা করার জন্য সওয়াল না-করে। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পরই ভারতীয় মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়েছিল, চীনকে চাপে ফেলতে দিল্লির উচিত তাইওয়ানের সঙ্গে ক‚টনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো। ‘এক চীন’ নীতি মানাটা বেইজিংয়ের ক‚টনীতির এক কঠোর শর্ত - যেসব দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাতেই চীন বিশ্বাস করে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং জুলাই মাসে এক ওয়েবিনারে মন্তব্য করেন, ‘তাইওয়ান, হংকং বা দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত বিরোধ প্রশ্নে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে - যা আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে।’ গত ফেব্রæয়ারি মাসে ভারতের একটি খবরের কাগজ দেশটিতে নিযুক্ত তাইওয়ানের প্রতিনিধির (রাষ্ট্রদূত বলা হয় না) এক সাক্ষাৎকার ছাপার পর চীনা দূতাবাস তারও তীব্র সমালোচনা করেছিল। ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ ক‚টনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে দিল্লি ও তাইপেই-তে উভয় পক্ষেরই বাণিজ্যিক কার্যালয় বা ট্রেড অফিস রয়েছে। এটি কার্যত পরস্পরের দূতাবাস হিসেবেই কাজ করে।
এদিকে চীনা দূতাবাসের চিঠি পাওয়ার পর ভারতের বড় বড় মিডিয়া হাউস বা সংবাদপত্র গোষ্ঠীগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিবিসি জানিয়েছে, তাইওয়ানের জাতীয় দিবসে (১০ই অক্টোবর) এবার দিল্লির বিভিন্ন খবরের কাগজেই তাদের পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার বা বিজ্ঞাপনী ক্রোড়পত্র সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। কোভিড মহামারিতে আর্থিক সঙ্কটে থাকা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সেই বিজ্ঞাপন খুব প্রয়োজনীয় কোনও সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, চীনের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করলে ভারতে সক্রিয় নানা মোবাইল ফোনসহ চীনা কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন তাদের হারাতে হতে পারে, এটাও মিডিয়া হাউজগুলোকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।