মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
খবর অনুযায়ী, খোঁজটা এনে দিয়েছেন কানাডার এক দল গবেষক। তাঁদেরই উদ্যোগে সম্প্রতি মরক্কো থেকে খোঁজ মিলল মসাসরের এক প্রজাতির। প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন যে, ৬ কোটি বছর আগের প্রজাতি এটি। অনেকটা কুমিরের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এই প্রজাতির জীবের। সমুদ্রের কাছাকাছি এদের বাস ছিল। প্রাণীবিজ্ঞানের মতে, এই প্রজাতির বিজ্ঞানসম্মত নাম গ্যাভিয়ালিমিমাস অ্যালমাঘ্রিবেনসিস। অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেটি স্ট্রং এবং তার সহকারী দল এই প্রজাতির খোঁজ পান এবং তার পরের ধাপে নামকরণ করে থাকেন। মরক্কোতে এই কয়েক কোটি বছরের প্রজাতিটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে মসাসর ছাড়াও সাঁতার জানা ডাইনোসর, যাদের বলা হয়ে থাকে স্পাইনোসরাস, তাদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মরক্কোতে। এই জায়গায় এসে এই দুই প্রজাতির মধ্যে তফাতের কথাটা না বললেই নয়। এই স্পাইনোসরাস কিন্তু সামুদ্রিক নয়। এরা সাঁতার জানত ঠিকই, তবে আদতে ছিল ডাঙার প্রাণী। আর মসাসর সব দিক থেকেই নিয়ম মেনে সামুদ্রিক প্রাণী। আর এরা ঠিক ডাইনোসরও নয়, সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি তাদের। ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে জর্জ কভিয়ার যখন প্রথম এই প্রজাতি খুঁজে পেয়েছিলেন, তখন তিনি এ হেন মসাসরকে ‘দৈত্যাকার সামুদ্রিক গিরগিটি’ তকমা দিয়েছিলেন। এদের দেহের দৈর্ঘ্য হতে পারে ৫৫ ফুট লম্বা। পানির বাইরের বাতাসেও শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মসাসরের। কুমিরের মতোই মুখের সামনের দিকে লম্বা ছুঁচলো নাক থাকে এদের। যা অবশ্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা বলেই ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন গবেষক স্ট্রং। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে সিসটেমিক প্যালিওনটোলজি জার্নালে। একের পর এক প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরের মাঝেই এমন কোটি বছরের পুরোন প্রজাতির সন্ধান একটু স্বস্তি দেয় বটেই। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সারা পৃথিবী জুড়ে ক্রমগত বদলে যাওয়া জলবায়ুর শিকার হয়ে চলেছে একের পর এক প্রাণী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, কোমোডো ড্রাগন এই মুহ‚র্তে রয়েছে বিপন্নতার তালিকায় সব চেয়ে উপরে। যে কোনও দিন জলবায়ুর পরিবর্তনের শিকার হবে এই প্রজাতিটিও। হয়তো বা বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে!
সম্প্রতি অ্যাডিলেড এবং ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য থেকে গবেষকরা বলেছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের স্তর বেড়ে যাওয়ায় বিপন্ন হতে চলেছে কোমোডো ড্রাগন। সরীসৃপ জাতীয় এই প্রাণীটি এখন হাতে গোনা। ঠিকঠাক সংরক্ষণ না হলে আর কয়েক দশকের মধ্যেই পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে কোমোডো ড্রাগন। সূত্র : দ্য স্ট্রিট জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।