পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি : নাদেল * আইনের প্রয়োগ না থাকায় অপরাধ বাড়ছে : অধ্যাপক ড. নেহাল করিম
৯ মাসে নির্যাতনের শিকার ৪৩২ : আসক
দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধারাবাহিক এই পৈচাসিক ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, কালো ব্যাজ ধারণসহ নানা ভাবে প্রতিবাদে উত্তাল সারাদেশ। সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, নাটরসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা
প্রকাশ পাচ্ছে। আইন শৃংখলা বাহিনী এরোই মধ্যে ধর্ষণের দায়ে নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশ সদস্য, নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে ধর্ষণকারীরাও দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। আর এসব ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। তাই প্রতিবাদ করতেও ভয় ভুক্তভোগীদের।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেশে আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। সেই কারণে ধর্ষণকারী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে অনেকে এই জঘন্য অপরাধ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হলে এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এ ধরণের অপরাধ হ্রাস পাবে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পৈচাসিক সেই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণের এমন ঘটনা নজীরবিহীন। গত এক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ডজনখানিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গত ৯ মাসে সারা দেশে ৯৭৫ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০৮ জন নারী।
এদিকে, এসব ঘটনায় তথাকথিত নারী নেত্রী ও এনজিও’র টাকায় প্রগতিশীল নারী নেত্রীরা নীরব থাকলে ও প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন দেশের সাধারণ মানুষ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে সমাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া ধর্ষণের প্রতিবাদে সবর রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও। ইতোমধ্যে সম্মিলিতভাবে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ‘বø্যাকআউট’ আন্দোলন শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ফেসবুক ফিড ছেয়ে গেছে কালো রঙের প্রোফাইল ছবিতে।
ঘটনাÑ১ : সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীর সাথে মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে। অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ঘরে ঢুকে তাকে নগ্ন করে দফায় দফায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বখাটেরা। শুধু তাই নয়, এ সময় বখাটেরা ওই ঘটনার ভিডিওচিত্রও ধারণ করে রাখে। ঘটনার প্রায় একমাস পর গত ৪ অক্টোবর নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে দেয়া হয়। এরপর সাথে সাথে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক একজন নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। তাদের একজন পা দিয়ে ওই নারীর মুখ চেপে ধরেছে। বারবার আকুতি জানানোর পরও নির্যাতন বন্ধ করেনি তারা।
পুলিশ জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর পারিবারিক বিরোধ থাকায় তেমন বনাবনি ছিল না। এই সুযোগে স্থানীয় বখাটেরা তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে তিনি রাজি না হওয়ায় বখাটেরা ঘটনার দিন রাতে তার ঘরে ঢুকে নগ্ন করে নির্যাতন করে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস হয়নি তাদের। অভিযোগ রয়েছে, দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ ৫ তরুণ ওই ঘটনা ঘটায়। কিন্তু আসামি তালিকায় নেই দেলোয়ারের নাম। শুধু তাই নয়, দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। যার কারণে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থেকে যায়। পরে ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ায় গত রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিরা হলেনÑ বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা। তাদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাÑ২ : গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে নববধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবু রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম, রাজন ও আইনুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে রাকিব হোসাইন নামের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী। এছাড়া গত রোববার নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করছেন বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তিলীগ সিলেট জেলা শাখার নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হারুন আহমেদ। এ ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুধু তাই নয়, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার আসামি হৃদয় আহমদ নামের এক কিশোরকে। সে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের চাতলপাড় গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর শহরতলীর রায়েরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়েরগাঁও’র দুই যুবক। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ জালালাবাদ থানার রায়েরগাঁওয়ের নাসির উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও একই এলাকার তজম্মুল আলীর ছেলে এখলাছ মিয়াকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাÑ৩ : গত শনিবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের একটি গ্রামে রাতের আঁধারে ঘরে প্রবেশ করে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান আসামি শাকিল মিয়া ও হারুণ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা উদ্দিন প্রধানের আদালতে আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনা-৪
গত ২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ আল সাহবার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পীরেরবাগ থেকে সবুজ ও তার সহযোগী বিবি ফাতেমা ঝুমুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় ছাত্রলীগ।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ৬০ ফিট এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ আল সাহবা। পরে গত বুধবার রাতে সবুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। এরপর ওই রাতেই রাজধানীর একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ও বিবি ফাতেমা ঝুমুর (৩৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। ঝুমুর সবুজের সহযোগি। তাই মামলায় বিবি ফাতেমাকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একই দিন গত ২ অক্টোবর গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণসহ একাধিক মামলার অপরাধে লিয়াকত ফকির নামের আওয়ামী লীগের আরেক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লিয়াকত উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়া গত সপ্তাহে রাজধানীর হাজারীবাগে একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক মনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মনির পেশায় ট্যাক্সিচালক। প্রথমে একজনের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। পরে দেখা এবং সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় কয়েকবার ধর্ষণ করেন। পরে তার দেবরের বউয়ের মোবাইলে নম্বর নিয়ে তার সঙ্গেও কথা বলতে বলতে সম্পর্ক করে তাকেও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে দুই জা মিলে ধর্ষককে থানায় নিয়ে এসে অভিযোগ করেন। এছাড়া গত বুধবার রাতে খিলগাঁওয়ে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চার শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিশুদের পরিবার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিকশাচালক সজল মোল্লাকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়।
একের পর এক ধর্ষনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব ও সামাজিক অবক্ষয়কে দায়ি করছেন সচেতন নাগরিকরা। তবে অপরাধীরা যত বেশি ক্ষমতাশীন হউক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবশ্যই ধর্ষণকারীরা মানবতার শত্রæ। এদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই । এরা অপরাধী সে যে দলেরই হোক না কেন? তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির বা ছাত্র ইউনিয়ন বলে আলাদা করে বিবেচনায় নেবার কোনো অবকাশ নেই। এই সমস্ত অন্যায়কারীদের কে প্রশ্রয় দেয় বা ব্যবহার করেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুব জরুরী।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, এগুলো অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা আমরা ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখছি। আমরা চাই এইসব অপরাধীদের দ্রæত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা। ধর্ষণের ঘটনায় মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষে এটাকে ঘৃণা করছে। এটা একটা পজেটিভ দিক। তবে এই মুহূর্তে যদি অপরাধীদের চিহিৃত করে শান্তি না দেয়া হয় তবে মানুষ আইনের প্রতি হতাশ হয়ে পড়বে। অপরাধীরা যেনো কোনোভাবে মুক্তি না পায়, সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
সম্প্রতি বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৯ মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৬১ নারী। এর মধ্যে যৌন হয়রানরি কারণে ১২ নারী আত্মহত্যা করেছেন। আর যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ নারী এবং ৯ পুরুষ নিহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপসহ নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটেছে।
গত ৯ মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৩২ নারী। এর মধ্যে হত্যার শিকার হন ২৭৯ নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৭৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।