পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’র সংশোধনীর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় ওঠানো হচ্ছে। অনুমোদনের পর এটি উপস্থাপন করা হবে জাতীয় সংসদে। এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ তথ্য জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদÐ। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ করার দাবির প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নিল সরকার। আনিসুল হক বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব আগামী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে যাচ্ছে। মূলত: আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধারায় ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদÐ থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদÐ করার প্রস্তাব দেয়া হবে। এই আইনের আরও কয়েকটি স্থানেও ছোট ছোট পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐে দÐনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদÐেও দÐনীয় হইবেন।’
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীতে গৃহবধূকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনা জানাজানির পর ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ করার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারিতে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদÐের পরিবর্তে কেন মৃত্যুদÐ করা হবে নাÑ এই মর্মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। তবে দশ মাসেও রুলের শুনানি হয়নি। এ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কমিশন গঠনেরও উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই আইনটি সংশোধনের ঘোষণা দিলো সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।