Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধুনিকতার ছোঁয়া: পুলিশের পদোন্নতি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৩৯ এএম

আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুলিশের পদোন্নতি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় কোনো বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতার কারণে অযোগ্য লোক পদোন্নতি পেলে যোগ্য লোক কাজে উৎসাহ হারায়, সেবার মান কমে যায়। অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য ব্রিটিশ আমল থেকে চলমান বিদ্যমান পদোন্নতি পরীক্ষায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। প্রচলিত এই পদ্ধতিতে ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হতো। ইউনিট অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার মাধ্যমে ইউনিট ভিত্তিক পদোন্নতি দেয়া হতো।
নানা কারণে কোন ইউনিটে কম, কোন ইউনিটে বেশি সংখ্যক শূন্যপদ থাকতো। কোন সদস্যেও মৃত্যু হলে বা বদলি জনিত কারণে অবসর গ্রহণের ফলে নতুন নতুন পদ শূন্য হত, নতুন ইউনিট সৃষ্টির কারণেও হত পার্থক্য। প্রার্থীর সংখ্যা হেরফেরের কারণে পদোন্নতির সুযোগ সবার জন্য সমান ছিল না। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করা, অবৈধ আর্থিক লেনদেন ইত্যাদি নানা প্রভাবকের কারণে পদোন্নতিতে সুবিচার বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ ছিল। এসব নানা কারণে পুলিশের অধস্তন সদস্যদের মধ্যে ছিল হতাশা ও অভিযোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বাংলাদেশের ইন্সপেক্টও জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে অভ্যন্তরীণ সেবা সহজিকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে উত্তরণের উপায় হিসেবে নতুন একটি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে অধস্তন কর্মকর্তা ও সদস্যদে পদোন্নতি পরীক্ষা হবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। এরই মধ্যে সকল ইউনিটের পদোন্নতি পরীক্ষার্থীগণ এই প্রথমবারের মত সারাদেশে একই সময়ে, একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন। এবারই প্রথম নৈব্যত্তিক প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীগণ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রেরিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রতি ইউনিটে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ভূমিকা রেখেছেন ও রাখবেন।
তিনি আরো জানান, পরীক্ষার উত্তরপত্র পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে। মানুষ নয়, কম্পিউটারের মাধ্যমে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে। স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সর্বক্ষেত্রেই উপস্থিত থাকবেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ন্যায্যতা ও সমমানের মূল্যায়ন নিশ্চিতের জন্য সবশেষে ইন্টারভিউ/ভাইবা গ্রহণ করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফলের তালিকা প্রস্তুত করে তা থেকে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এর ফলে মেধার মূল্যায়ন ও ন্যায় বিচারের পথ সুগম হবে। পদোন্নতিতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিকে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হবে। গতানুগতিক পদ্ধতির বিপরীতে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক এই পদোন্নতি প্রক্রিয়া প্রচলনের ফলে নাগরিক সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অধিকতর মনোযোগের সাথে সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর নতুন পদ্ধতিতে সারাদেশে একযোগে নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলাফল গতকাল বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রিয় ওয়েব সাইট এবং ফেইসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • ABM Abdur Rahman ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:২৭ এএম says : 0
    Thanks to the police Administration.Thanks to the Honourable IGP.Dr.Benazirfor good Decision.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ