মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসকে সাধারণ ফ্লু’র সঙ্গে তুলনা করায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পোস্ট গত মঙ্গলবার মুছে দিয়েছে ফেসবুক। এতে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। ফলে ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দেয়া আইন বাতিল করা উচিত বলে তিনি কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে হোয়াইট হাউজে ফেরার পরের দিনই ঘটেছে এ ঘটনা। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেয়া এক টুইটে একই রকম বিধিনিষেধ দিয়েছে আরেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। তবে তারা ট্রাম্পের টুইট মুছে দেয়নি। তার টুইটের ওপর একটি নোট যুক্ত করেছে। সেই নোটের নিচে রয়েছে ট্রাম্পের টুইট।
নোটে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ওই টুইট ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া সম্পর্কিত কোম্পানির আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। ট্রাম্পের পোস্ট মুছে দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন। তিনি বলেছেন, ওই পোস্টটি ফেসবুকের নিয়মনীতি ভঙ্গ করেছে বলে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে যেসব ভুল তথ্য আছে তা আমরা সরিয়ে ফেলি। তাই আমরা ওই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছি।
এতে বলা হয়েছে, ফেসবুকে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসকে তুলনা করেছেন ফ্লু’র সঙ্গে। কিন্তু বারবার মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা এমন তুলনা সঙ্গত নয় বা এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। এমন তুলনাকে তারা মারাত্মক বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ এমন তুলনা করা হলে জনগণ করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে না। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একরকম সাংঘর্ষিক অবস্থায় রয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বারবার এ ভাইরাস ইস্যুতে এমন অবস্থান নিয়েছেন, যা বৈজ্ঞানিক সত্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে এক্ষেত্রে পৌরাণিক তথ্য, ভুল মেডিকেল পরামর্শ ও অন্যান্য ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে অধিক সাহসী ভূমিকা নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট এবং অন্য রাজনীতিকদের মহামারি নয়, এমন সব বিষয়ে যথেষ্ট ছাড় দিয়েছে।
ওদিকে ট্রাম্পের পোস্ট ফেসবুক মুছে দেয়ার পর চটেছেন তিনি। তার টুইট মুছে দেয়ার পর গত মঙ্গলবার ট্রাম্প আরেকটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি ১৯৯৬ সালের একটি আইনের অংশবিশেষ, যা সেকশন ২৩০ নামে পরিচিত, তা কংগ্রেসের বাতিল করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ, এ সেকশন ২৩০ এর অধীনে সুনির্দিষ্ট কিছু আইনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বিষয়ক কোম্পানিগুলোকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে এ আইন। তারা মনে করেন, এ আইনের কারণে ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলো বেশি পক্ষপাতী হয়ে উঠেছে।
ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেছেন, বাস্তবতার ক্ষতি করে এমন সব ভুল তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আছে। এমন তথ্য প্রকাশ হলে অত্যাসন্ন সহিংসতা অথবা শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। এর সঙ্গে মহামারির ক্ষতি যুক্ত। একই রকম নিয়ম আছে টুইটারের। এর মুখপাত্র আদ্রিয়ান জামোরা নিশ্চিত করে বলেছেন, ট্রাম্পের পোস্টে কোভিড-১৯ নিয়ে সন্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল তথ্য আছে। তাই কোম্পানি তার পোস্টের ওপর একটি জনস্বার্থ বিষয়ক নোটিশ সেঁটে দিয়েছে। সূত্র : এনবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।