পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে। এতে নাগরিক সমাজে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে।
ধর্ষণ, যৌন হয়রানী ও নারী নির্যাতন এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জন নারীকে। মিডিয়া জুড়েই এসব খবরাখবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সোচ্চার। রাজপথে প্রতিবাদও অব্যাহত রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া হয়েছে নোয়াখালীর একটি নারী নির্যাতনের ঘটনায়। ৩৭ বছর বয়স্ক এই নারীকেই সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। এরপর দুই যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রচার করে। এটা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। এরপর থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে সমাজে। এই ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজার হাজার নারী এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তারা প্রোফাইল পিকচার কালো রঙ দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। গত দুই মাসে ২৩০ টি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও সংবাদপত্রে সব খবর আসে না। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই থানায় রিপোর্ট করেন না। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারণা, বিচারহীনতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এর পরিণতিতে ধর্ষণ এখন মহামারি হিসেবেই দেখা দিয়েছে। গত ২৯ দিনের একটি চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এতে দেখা যায়, পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে। ২০১৮ সনে যেখানে ৯৪৩ টি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল সেখানে ২০১৯ সনে থানায় নথিভুক্ত হয় ১ হাজার ৫১৩টি ঘটনা। মহিলা পরিষদ নেত্রী মালেকা বেগম মনে করেন, আইনের শাসন না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নারীপক্ষ আন্দোলনের নেত্রী কামরুন্নাহার দুঃখ করে বলেছেন, আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে নারীর কোনো মর্যাদা নেই। তাদেরকে মানুষই মনে করা হয় না।
মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ এলাকা প্রতিবাদে উত্তাল ছিল। প্রগতিশীল ছাত্রজোট, কতিপয় বামপন্থী দল প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে লাঠিপেটা করে। এতে ৭ জন আহত হয়েছেন।
ওদিকে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার দরকার। এই নির্যাতিতদের রক্ষা করতে হবে। ঘটনাগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভয়েস অফ আমেরিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।