পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণ ও বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার সারাদেশ। রাজধানীর শাহবাগ ও উত্তরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকালও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সিলেট, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, নোয়াখালী ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মানববন্ধনে বক্তারা নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ও তাদের ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রুত আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের দাবিও জানিয়েছেন অনেকেই।
এদিকে, নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে খেলোয়ার, শিল্পী-কলাকুশলী সবাই একাট্টা হয়ে প্রতিবাদমুখর হয়েছেন।
রাজধানীর শাহবাগ, উত্তরাসহ সারাদেশে ধর্ষণ বিরোধী বিভিন্ন সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের গণধর্ষণের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরণের অপরাধ ঘটছে নিয়মিতই। শুধু তাই নয়, ধর্ষণকারীরাও দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। আর এসব ঘটনার সাথে স্বয়ং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। তাই প্রতিবাদ করতেও ভয় পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এসব ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা বর্বরতার চরমসীমা। এটা জঘন্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। অপরাধীরা যেন কোনোভাবে ছাড় না পায় সে জন্য নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, এগুলো অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা আমরা ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখছি। আমরা চাই এইসব অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষে এটাকে ঘৃণা করছে। এটা একটা পজেটিভ দিক। তবে এই মুহূর্তে যদি অপরাধীদের চিহিৃত করে শান্তি না দেয়া হয় তবে মানুষ আইনের প্রতি হতাশ হয়ে পড়বে। অপরাধীরা যেনো কোনোভাবে মুক্তি না পায়, সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি দৃশ্যমান হলে অপরাধীদের মনে ভয়ের সঞ্চার হবে। আর ওই ভয়ের কারণে ধর্ষণকারীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে সাহস পাবে না। এতে সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধস্তাধস্তিঃ গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে গণঅবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে বামধারার কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের সমর্থক শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। সোয়া ১টার দিকে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা কালো পতাকা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগ হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে রওনা দেন। এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। একপর্যাযে পুলিশের লাঠিচার্জে ও ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশের সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এ সময় তারা পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর ২টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়ে তারা শাহবাগে চলে যান।
ছাত্র ইউনিয়নের কলাবাগান থানার সদস্য সাদিয়া ইমরোজ বলেন, পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসমানী আশাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, শাহবাগে ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ লেখা ব্যানার নিয়ে গণ-অবস্থানকারীরা ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের হবে না’,‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পুষে, সে রাষ্ট্র ভেঙে দাও’, ‘ধর্ষকদের কারখানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে’ স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনারীরা। গণ-অবস্থানে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণের ঘটনার কারণ যতটা না জৈবিক বিকার, তার চেয়ে ক্ষমতার বিকার।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, সারা দেশে নারী ও শিশুর প্রতি অব্যাহত নিপীড়ন নেমে এসেছে। এসব যারা করছে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে সরকার। ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তা বন্ধ হবে না। লালবাগ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. শাহাদাত হোসেন চোখে কালো কাপড় ও মুখে কালো মাস্ক পরে গণ-অবস্থানে এসেছেন। তার মাস্কের ওপরে লেখা ‘পুরুষতন্ত্র নিপাত যাক’। শাহাদাত বলেন, এই রাষ্ট্রে আমরা নাগরিকেরা এখন অন্ধের মতো হয়ে গেছি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তবু বিচার হচ্ছে না। আইনের আওতায় আনা হয় খুবই কম। জামিন পেয়ে ধর্ষকেরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ন্যায্য বিচার হলে বারবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না। এ কারণেই চোখ থাকতে আমরা অন্ধ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিঃ ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন পদযাত্রা করেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, আদালত এলাকা, জনসন রোড, রায়সাহেব বাজার ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ঘুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা দুই সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে পদযাত্রাটি করেন। এতে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
৩২ নম্বরে যুব মহিলা লীগের মানববন্ধন
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে যুব মহিলা লীগ। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরস্থ মিরপুর রোডে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধনে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ধর্ষণকারীদের কোনো বিবেক নেই, তাদের কোনো ধর্ম নেই। এ জন্য তারাই ধর্ষণের মতো ঘটনা করে থাকে। আর ধর্ষণকারীরা এদেশের নাগরিক হতে পাবে না। তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের যেসব মামলা চলমান আছে, সেই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট প্রদান করেন। যথাযথভাবে চার্জশিট দিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। মানববন্ধনে অংশ নেন- যুব মহিলা লীগের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সহ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম ও খোদেজা নাসরিন, সহ-সভাপতি কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ।
উত্তরার রাস্তায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ যানজট
সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর উত্তরায় সড়কে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে থেকে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। এ সময় বেশ কয়েক ঘন্টা টঙ্গী থেকে বিমানন্দর হয়ে মহাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে পরতে হয় সাধারন মানুষকে। কর্মসূচিতে অংশ নেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা হাইস্কুল, নবাব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই কর্মসূচিতে যুক্ত হন।
গতকাল দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ ধর্ষণবিরোধী নানা লেখা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা ধর্ষকের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘ধর্ষণমুক্ত দেশ চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘নারী কোনো পণ্য নয়, নারী কোনো ভোগ্য নয়’। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘মানুষ তুমি চুপ কেন?’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষণ বা যেকোনো নিপীড়নের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এভাবে নারীদের ওপর অত্যাচার আমরা আর মানতে পারছি না। নারী কোনো ভোগ্য পণ্য হতে পারে না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেয়া না হলে এটা কখনোই থামবে না।
কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থী লাবিব মুহান্নাদ বলেন, আমাদের দাবি একটাই, আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই। এটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন সামাজিক প্রতিরোধ কমিটিঃ একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে আইন প্রণেতাদের জবাবদিহি করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। ধর্ষণ বন্ধে দেশব্যাপী প্রতিরোধের আহ্বান জানায় ওই কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফৌওজিয়া মোসলেম বলেন, বেগমগঞ্জের ঘটনায় নারীরা কেন লজ্জিত হবে? লজ্জিত হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সেখান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও প্রশাসন। তারা কী জবাব দেবেন? তিনি আরও বলেন, আইনপ্রণেতারা উদ্যোগ না নিলে এসব অপরাধ বন্ধ হবে না।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, যত দিন মনে করবেন যে ধর্ষণের হার অন্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশে কম, তত দিন ধর্ষণ কমবে না, বিচার হবে না।
আইন ও সালিস কেন্দ্রের প্রতিনিধি ফাহমিদা জামান বলেন, ‘সুষ্ঠু বিচার থাকলে এসব দেখতে হতো না। নারী, মেয়ে ও ছেলে শিশু নিরাপদ না। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রও প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেছে। সংগঠনের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, দেশে ধর্ষণের মহামারি শুরু হয়েছে। ধর্ষণ আইনে পরিবর্তন এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রেসক্লাবে গতকাল সকাল থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ও সোনাইমুড়ী জনকল্যাণ সমিতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।