পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশে ধর্ষণ, নির্যাতনসহ নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধির ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় (ঢাবি) বিএনপি জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি জানান।
এতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে লক্ষ করছি যে, দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণসহ নারী ও মেয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরে, বাইরে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি পবিত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের দ্বারা তরুণী গৃহবধুকে গণধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে আদিবাসী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, নওগাঁতে গির্জায় আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণসহ, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ভোলা ও লালমনিরহাটসহ সারাদেশে সংঘটিত হয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা। এরই মধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তাতে আমরা বাকরূদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে ধর্ষণের উৎসবে নারী ও শিশুর চিৎকার এবং মা-বাবার আহাজারিতে দেশের বাতাস আজ ভারী হয়ে উঠেছে। আরো উদ্বেগের বিষয় হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় সরকার সমর্থক দলীয় নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দুর্বৃত্ততন্ত্র এর জন্য দায়ী। ক্ষমতার দম্ভ ও রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধের দায়মুক্তি ইত্যাদিসহ বিকৃত ভোগের হাতছানিতে কিছু মানুষের ভেতরকার মনুষ্যত্বকে মেরে পুনর্জন্ম দিচ্ছে ধর্ষক ও নির্যাতকের। ক্ষমতার দন্ডধারীদের অনেকেই আজ আমাদের প্রিয় জনপদকে উপদ্রæত ও আতঙ্কিত করে ফেলেছে। আমরা মনে করি এদের নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের নিরসন ঘটবে না।
ঢাবি সাদা দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর পাদদেশে দাঁড়িয়ে আমরা এদেশে কোনো ধর্ষিত, নিপীড়িত নারী ও শিশুর আর্তচিৎকার শুনতে চাই না। আমরা চাই নারী ও শিশুসহ সকলের জন্য একটি নিরাপদ আবাসভূমি। আর এজন্য আমরা চাই ধর্ষক ও নিপীড়কদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কোনো ধর্ষক বা অপরাধী যেন ছাড় না পেয়ে যায় সেটি নিশ্চিত করাসহ সকল অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমার সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।