পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একজন রাজনীতিবিদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কাছে যাওয়া। জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিজের চোখে দেখা। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কবে রাস্তায় আসতে দেখেছেন? জাতি এ প্রশ্ন করতেই পারে। দুঃখিত, বেগম খালেদা জিয়াও একটা ভুল করেছেন। শর্ত মেনে নিয়ে জামিনে আসা তার উচিৎ হয়নি। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একজন রাজনীতিবিদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিজের চোখে দেখা। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কবে রাস্তায় আসতে দেখেছেন? জনগণের সম্মুখীন হতে দেখেছেন? তিনি বাংলাদেশের অনেক উন্নয়নের কথা বলেন। অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু কোনোটাই কার্যকর করতে পারেন না। উনি মানসিক স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যের কথামতো চলছেন। এক নম্বর পরামর্শদাতা ভারতের ‘র’, দুই নম্বরে ইসরাইলি মোসাদ, তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। তারা যা শেখায় প্রধানমন্ত্রী তাই বলেন। খাঁচায় আবদ্ধ পাখিকে যে বুলি শেখানো হয় সেটাই বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে শেখ হাসিনা যেটা করছেন সেটা কোনো রাজনৈতিক বিবেচ্য নয়। কোনো সত্যিকারের রাজনীতিবিদ অন্য রাজনীতিবিদকে ছোট করে না। জিয়াউর রহমান তো কখনও বঙ্গবন্ধুকে ছোট করেনি। বঙ্গবন্ধুও কখনও জিয়াউর রহমানকে ছোট করেনি। তাকে সম্মান করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে ব্যবহার করছে সেটি সুকৌশলে তাকে দূর পথে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনিও রাস্তায় নামেন জনগণের কাছে যান তাহলে যৌন নির্যাতন কমে আসবে। আর নাহলে আপনারও বিচার হবে। জীবিত অবস্থায় আর না হয় মৃত অবস্থায়।
খালেদা জিয়া সম্পর্কে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি দুঃখিত, বেগম খালেদা জিয়াও একটা ভুল করেছেন। শর্ত নিয়ে আসাটা (জামিন নেয়া) তার উচিৎ হয়নি। তিনি যদি কথাই না বলতে পারবেন। তাহলে জেলখানার বড় জায়গা রেখে গুলশানের বাড়িতে এসে লাভ কী? বিএনপির চেয়ারপারসনের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, যেকোনোভাবেই হোক আপনি একটি কাউন্সিল করেন। স্থায়ী কমিটিতে যারা ছিলেন তাদেরকে বিশ্রামে পাঠান। চেয়ারে বসে থেকে থেকে তাদের কোমরে জরা ধরে গেছে। ইয়ংদেরকে সামনের কাতারে নিয়ে আসেন। এদের দিলে রাস্তায় নামবে। পরিবর্তন তখনই আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তার চিকিৎসার সুযোগ দিন। তাকে বেইল (জামিন) দিন। তার প্রতি আপনারা অন্যায় করছেন।
বিচারপতিদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের বিচার হবে। আপনাদের মাজা (কোমর) ভেঙে গেছে। উঠতে পারছেন না, দাঁড়াতে পারছেন না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।