Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাইব্রোসিস করোনার দোসর

ফুসফুসে অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রাণঘাতী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১৩ এএম

অক্সিজেন না থাকা মানে জীবন নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বেশিমাত্রায় অক্সিজেনই প্রাণঘাতী ভূমিকা নেয়। ফুসফুসকেই অকেজো করে দেয়। রোগী হাঁটাচলা, স্বাভাবিক কাজ করতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর এই সমস্যাকে চিকিৎসকরা বলছেন ফাইব্রোসিস।
ফাইব্রোসিস অর্থাৎ ফুসফুসের নরম কোমল তন্তু শক্ত হয়ে যাওয়া। ফুসফুসের বাইরে কঠিন আস্তরণ পড়ে যাওয়া। ফলে ফুসফুসের স্বাভাবিক সঙ্কোচন-প্রসারণ বাধা পায়। করোনা থেকে মুক্তি পেলেও শেষ পর্যন্ত এই সমস্যায় মৃত্যুও হতে পারে। আর এই ঘটনাকেই চিকিৎসকরা বলছেন, ফাইব্রোসিস।

ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৌমিত্র ঘোষ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, জটিল করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া রোগীদের ২০-২৫ শতাংশ রোগী এই সমস্যা ভুগছেন। তারা একটু হাঁটলে ক্লান্ত হচ্ছেন। সামান্য পরিশ্রম করতে পারছেন না। হাসপাতালে বুকের সিটি স্ক্যান করে দেখা যাচ্ছে, কোমল তন্তু ও এলভিওলাই যা রক্ত সংবহন করে, সেটা শক্ত হয়ে গেছে। ফুসফুস স্বাভাবিক কাজ করতেই পারছে না। ফুসফুস আর বেলুনের মতো বাড়ছে-কমছে না।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র ওই সমস্যা নিয়ে গত একমাসে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন অনেক রোগী। বিশেষত যারা দীর্ঘদিন ধরে আইসিইউতে ছিলেন অথবা অনেকটা সময় ধরে ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা’র মাধ্যমে অক্সিজেন নিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে এই সমস্যা প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। রক্ত থেকে স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই অক্সাইড বেরতে পারে না। রোগী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েন।
ডা. সৌমিত্রের কথায়, যদি দেখা যায় যে ফুসফুসের ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে, তবে ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় করা যেতে পারে। তবে তার বেশি হলে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে। আরেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আলোকগোপাল ঘোষাল বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, যারা দীর্ঘসময় ধরে বেশিমাত্রায় অক্সিজেন নেন তাদের সমস্যা হতে পারে।

তবে কিছু ওষুধও এই রোগের জন্য দায়ী। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি অক্সিজেনের ফ্লো বা চাপ কমাতে হবে? বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, প্রতি গ্রাম রক্তে ৯৫ শতাংশ হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন বহন করলে তবে শরীর সুস্থ ধরা হয়। কম হলে সমস্যা।
তাই করোনা আক্রান্তকে কম মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেছেন। কারণ, ফুসফুস প্রতিস্থাপন করার মতো ব্যবস্থা এখনো ভারতের সর্বত্র গড়ে ওঠেনি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবস্থা নেই। সূত্র : দ্য ডেইলি ক্রনিকল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ