Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শীতলক্ষ্যায় সীমানা পিলার স্থাপনে বাধায়ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২০ পিএম

নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীতে নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল পানিরকল এলাকায় শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে সীমানা পিলার স্থাপনে বাধা দিলে শনিবার ৩ অক্টোবর দুপুরে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ, নূর হোসেন, প্রকৌশলী মহসীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিরোধপূর্ণ ওই স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতিতে এসিআই ফ্যাক্টরী, ওয়াসার পানি শোধনাগার ও কোঅপারেটিভ শিল্প সংস্থার অভ্যন্তরে ১৫টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ মাহবুব জামিল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পূর্বে যেসকল সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছিল সেগুলোর বেশীরভাগ নিয়েই আপত্তি ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীকে রক্ষা করার জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) পদ্ধতিতে সিএস জরিপ মোতাবেক নতুন সীমানা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে দু’টি লাভ হবে। এক হচ্ছে নদীর সীমানা নির্ধারিত হবে এবং নদীর জায়গা ও ব্যক্তির জায়গার মধ্যে ডিসপিউট সম্পর্কে আমরা সহজেই নির্ধারণ করতে পারবো। বিআইডব্লিউটিএর কাজ হচ্ছে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়া এবং নদীর তীরে যারা বসবাস করছেন তাদের স্বাচ্ছন্দময় জীবন উপহার দেয়া। স্থানীয় লোকজনও আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে। যেসব জায়গায় ত্রুটিপূর্ণ পিলার রয়েছে সেসব জায়গায় সীমানা পিলার পূণনির্ধারণ করে জিপিএস পদ্ধতিতে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, পূর্বে ৫ হাজার ১১টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছিল যেগুলো নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জিপিএস পদ্ধতিতে ধলেশ^রী ও শীতলক্ষ্যার উভয়তীরে ২ হাজার ৪০০ টি সীমানা পিলার বসানো হবে। এই নতুন সীমানা নির্ধারনী নির্মাণ কাজ তদারকি করছে বিআইডব্লিউটি নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর। ১০০ ফুট পরপর সীমানা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই সীমানা পিলার পাইলিং এর মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে। উচ্চতায় ১০ ফুট এবং বেস হচ্ছে ৫ ফুট বাই ৫ ফুট। যাতে কেউ ইচ্ছে করলেই সীমানা পিলার উঠিয়ে নিতে না পারে। এই পিলারের আয়ুস্কাল কমপক্ষে ১০০ বছর। একসময় বলা হতো শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দিয়ে ডিষ্ট্রিল ওয়াটার তৈরী করা হতো। কিন্তু নদীর সেই যৌবন এখন আর নাই। সীমানাও সঠিকভাবে নেই। আমরা নদীর সেই হারানো যৌবন বা হারানো সীমানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এতে সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসী তথা নারায়ণগঞ্জবাসী উপকৃত হবে। গণমাধ্যমসহ স্থানীয় অধিবাসীরাও একাজে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য শুক্রবার ২ অক্টোবর গোদনাইল এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করাকালীন সন্ত্রাসী রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সীমানা পিলার স্থাপন কাজে বাধা দেয়। যে কারণে শনিবার ৩ অক্টোবর ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। তবে এসময় বাধা প্রদানকারীদের কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা। এসিআই ফ্যাক্টরী, ওয়াসার পানি শোধনাগার ও কোঅপারেটিভ শিল্প সংস্থার লোকজনও রাসেল তাদের লোক নয় বলে জানান। সীমানা পিলার স্থাপনে তারা কোন ধরনের বাধা প্রদান করেননি বলেও জানান। জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে মদনগঞ্জ থেকে ২৬নং ওয়ার্ডের রামনগর পর্যন্ত শতাধিক নতুন সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ