Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা প্রতিষেধকের জন্য জীবন যাবে পাঁচ লাখ হাঙরের!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৭ পিএম

বিশ্বে করোনা মহামারিতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর তালিকা। সংক্রমণ কমে আসার এখনও কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রেকর্ড গতিতে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। একে বলে, ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ গবেষণা। যার পরিণামে হয়তো মরতে হবে অন্তত ৫ লাখ হাঙরকে! বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একটি সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠন।

ওই সংগঠনের বক্তব্য, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে ভাবে তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, তাতে প্রাণ যাবে প্রায় ৫ লাখ হাঙরের। কিন্তু কেন? বেশির ভাগ ভ্যাকসিন বা টিকাতে ‘অ্যাজুভ্যান্ট’ লাগে। এটি একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই উপাদানটি মেলে হাঙরের লিভারে। ভ্যাকসিনের দ্রুত ও কার্যকরী প্রভাব পেতে উপাদানটি জরুরি। অতএব ব্যাপক সংখ্যায় গবেষণা এবং ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরির জন্য হাঙর নিধন জরুরি হয়ে পড়ছে। মানুষের জীবনের বিনিময়ে প্রাণ যাবে লাখ লাখ হাঙরের।

সব ভ্যাকসিনেই বিভিন্ন অ্যাজুভ্যান্ট ব্যবহার করা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে লাগে ‘স্কুইলিন অয়েল’। কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক তৈরিতেও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। হাঙর ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রাণীর লিভারে থাকে তেলটি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাঙরের লিভার অয়েলই নেয়া হয়। ওই সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠনটি দাবি করেছে, শুধু আমেরিকার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন তৈরি করতেই অন্তত ২১ হাজার হাঙরকে মারতে হবে। গাছের থেকেও ‘স্কুইলিন অয়েল’ পাওয়া যায়। সংস্থাটির দাবি, হাঙর না-মেরে যদি গাছ থেকে পাওয়া স্কুইলিন অয়েল ব্যবহার করা হয়।

যে গতিতে গবেষণা চলছে, তাতে আগামী বছর একাধিক সংস্থা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলবে বলে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বৃহস্পতিবার একই আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্বের সব চেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন’। কিন্তু আগামী বছর নয়, এ বছর নভেম্বরের মধ্যেই বাজারে প্রতিষেধক আনতে চায় মার্কিন সরকার। নভেম্বরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গদি টলমল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি চান, যে ভাবেই হোক ভোটের আগে ভ্যাকসিন আনতে হবে। এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছে, সে রকম হলে চীন-রাশিয়ার মতো পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনই বাজারে ছেড়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি প্রকাশ করেছিল মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। ট্রায়ালে সব চেয়ে এগিয়ে থাকা মার্কিন সংস্থা ‘মডার্না’-র সিইও বলেছেন, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে। কিন্তু ভোটের আগে কোনও ভাবেই ট্রায়াল সম্পূর্ণ হবে না। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ