পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য, করদ রাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে। সংসদ হলো ভোট ডাকাতদের অভয়ারণ্য। তারা মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনষ্ট করেছে। আজকে দেশের সার্বভৌমত্ব আছে কি না দেখা যায় না। আজকে আমরা ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছি। করদ রাজ্য। গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনের কোনো সময় থাকে না। ইস্যুতে আন্দোলন হয়।
শুক্রবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের অবৈধ অব্যাহতির প্রতিবাদ এবং চলমান খুন-ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের দাবিতে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এই ‘প্রতিবাদী যুব সমাবেশ’ হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে জনগণের কোনো কাবিন নামা তথা ভোট দেয়ার সম্পর্ক নেই। সুতরাং তাদেরকে তালাক দেয়া যাবে না। বরং বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলেন, একজন ব্যক্তির ব্যর্থতায় মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত। হয়তো মুক্তির উচ্ছসিত মানুষ তারা এমন নির্দয় খবর শুনতে চায়নি। শহীদ জিয়া দেশের উন্নয়নের অনেক কিছু শেষ করতে পারেন নি। কিন্তু তিনি সবকিছুই শুরু করে গেছেন। তিনি শুরু করেছিলেন বলেই তার অনেক কিছুর শেষ হয়েছে। সেসময় মানুষ চেয়েছিল মুক্তি, কথা বলার অধিকার। কিন্তু করা হলো বাকশাল, সংবাদপত্র নাই। আর জিয়াউর রহমান হচ্ছেন- মানুষ যেই গণতন্ত্র চেয়েছেন, যেই স্বাধীনতা চেয়েছেন, যেই অধিকার চেয়েছেন সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তার জানাজা নামাজে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন।
বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি যোগ্য সন্তান হলে বাবার জানাজা যারা পরেনি অথচ এখন বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলছে তাদের বিচার আগে করুন শেখ হাসিনা। গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার তো যৌন চেতনা বৃদ্ধির সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রক্ষা করছেন। অথচ সারা জাতি ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের দ্বারা নিপীড়িত।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ডাক যারা দেয়ার কথা তারা দেয়নি। দিয়েছেন তৎকালিন সেনাবাহিনীর একজন মেজর তিনি হলেন- জিয়া। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জিয়ার নেতৃত্বেই দেশ পরিচালনা হয়েছে।
গয়েশ্বর আরো বলেন, আমাদেরকে আরেকবার নামতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে হবে। বিশাল প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। যার ঢেউয়ে তারা ভেসে যাবে যারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, ভিন্নমতের কারণে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। সে পত্রিকায় কলামে সত্য কথা লিখে মতপ্রকাশ করেছে। আজ তাকে যারা চাকরিচ্যুত করেছে তাদরকেও একটা সময় চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে বব্যবস্থা নেয়া যাবে। ঢাবি সিন্ডিকেট দলদাস হয়ে কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। পশুপাখির জন্য যেমন অভয়ারণ্য দরকার তেমনি ধর্ষকলীগের জন্য ভাসানচরে অভয়ারণ্য করে দেন। পাপিয়াদের মতো যারা আছে তাদেরকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অধ্যাপক মোর্শেদ কলাম লিখে তো অন্যায় করেনি। কলামে যে কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেটা তিনি সাথেই সাথেই প্রত্যাহার করেছে। তবুও তাকে ধরা হলো। আজকে অধ্যাপক মোর্শেদ যদি জাফর ইকবাল হতো তাকে ধরা হতো না! তাকে অব্যাহতি দিয়ে চরম অন্যায় ও মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে। তাকে পুনর্বহাল করতে হবে।
আলাল বলেন, ক্ষমতাসীনদের অবিচার অনাচারে অশান্তিতে পরিণত হয়েছে দেশ। তাদের দ্বারা জাতি কি শিক্ষা পাচ্ছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজীব আহসান, যুবদলের সাইদ হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহির উদ্দিন তুহিন, জাতীয় মুক্তমঞ্চের ইসমাইল তালুকদার খোকন প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসান, শামসুল আলম রানা, কাজী মোক্তার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এইচএম আবু জাফর, তরিকুল ইসলাম, এনামুল হক, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সানজিদা ইয়াসমিন তুলি সহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।