নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব করেছিল ২২৩ রান। তাড়া করে জিততে হলে আইপিএল ইতিহাসের রেকর্ড ভাঙতে হতো। সেই চেষ্টায় গতপরশু রাতে শারজা স্টেডিয়ামে এক পর্যায়ে ১৮ বলে ৫১ রান দরকার ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। আগের ম্যাচে ৭৪ করা সঞ্জু স্যামসন মাত্রই আগের ওভারে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে। ২৭ বলে ৫০ রান করে স্মিথ তো ফিরেছেন বহু আগেই। ডাগ আউট থেকে মাত্রই ক্রিজে আসা রবিন উথাপ্পা কতই-বা করবেন। নিজের সেরা সময় তো অনেক আগেই তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন। সঙ্গে আছেন হরিয়ানার ক্রিকেটার রাহুল তেওয়াটিয়া। তিনি আবার একটু আগেও ১৯ বল খেলে ছিলেন মাত্র ৮ রানে। স্যামসন আউট হওয়ার আগে রাহুল একটা ছক্কা মারলেও খুব একটা ভাল দেখাচ্ছিল না তার স্ট্রাইকরেট (২১ বলে ১৪)।
শেষের ওভারের জন্য পাঞ্জাব আবার বাঁচিয়ে রেখেছিল দুই ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি ও শেলডন কটরেলকে। এমন অবস্থায় ম্যাচ জেতা কি সম্ভব? তিন ওভার বাকি থাকতে এমন প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তরই মিলত। কিন্তু ১৮তম ওভারে কটরেলকে দেখে কী যেন ভর করলো রাহুলের ওপর। ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা, ০, ছক্কা-কটরেলের এক ওভারে ৩০ রান নিয়ে পুরো ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিল এই ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি! শারজায় যেন হুট করেই মরুর ঝড় এসে সব এলোমেলো করে দিয়ে গেল। ১৮ বল ৫১ রান থেকে ম্যাচের সমীকরণ এসে ঠেকে ১২ বলে ২১ রানে। এই যুগের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কঠিন কিছু না। এক ওভার, এক ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাব নিশ্চিত দুই পয়েন্ট হাতছাড়া করার পথে। উইকেট নেওয়া ছাড়া এই ম্যাচ জেতার আর কোনো উপায় নেই। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে শামি অভিজ্ঞ উথাপ্পাকে আউট করে সেটিই করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু উথাপ্পাকে আউট করে যেন উল্টো আরেক ছক্কা হাঁকানো বাসান ডেকে আনলেন শামি। আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জফরা আর্চার ক্রিজে এসেই চোখের পলকে যোগ করেছিলেন ২৪ রান। আজ পাঞ্জাবের বিপক্ষেও ঠিক তাই করলেন। পর পর দুই ছয় মেরে এক রান নিয়ে আর্চার ক্রিজের অপর প্রান্তে যেতে না যেতেই রাহুল মারলেন আরেক ছক্কা। ৩০ বলে ফিফটিও পূর্ণ করলেন। অথচ ১৫ মিনিট আগেও ১৯ বলে ৮ রানে খেলছিলেন তিনি। শামির ওভারের শেষ বলটাও ছক্কা হতে পারত। কিন্তু কাভার বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারকে পরাজিত করতে পারেননি রাহুল। আউট হলেন ৩১ বলে ৭ ছক্কায় সাজানো ৫৩ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে।
শেষ ওভারের আগে সমীকরণটা রাজস্থানের জন্য খুবই সহজ। স্মরণীয় জয় পেতে দরকার মাত্র ৬ বলে ২ রান। তবে অত সহজে হল না। রাহুল আউট হওয়ায় ক্রিজে আসা রিয়ান পরাগ শেষ ওভার করতে আসা মুরুগান অশ্বিনের প্রথম বলে কোনো রান নেননি। পরের বলে স্টাম্প ছেড়ে সুইপ করতে গিয়ে হন বোল্ড। পরের বলে টম কারেন এসে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন। সঙ্গে ইতিহাসও গড়ে স্টিভ স্মিথের দল। একের পর এক ছক্কার বৃষ্টি বইয়ে দিয়ে শেষ হাসিটা হাসল রাজস্থানই। প্রথম ইনিংসে ২২৩ রান করতে পাঞ্জাব ছক্কা মেরেছিল ১১টি। রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ছক্কা মারে রাজস্থান! অথচ প্রথম ইনিংসে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৫০ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসকে একবারও মনে হয়নি পরাজিত সেঞ্চুরিতে পরিনত হবে। ওপেনিং জুটিতে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ১৮৩ রান যোগ করেছিল মায়াঙ্ক। রাহুল করেছিলেন ৬৯ রান। তবু হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো পাঞ্জাবকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।