পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর দুই মাস ধরে সন্ধান পাওয়া যায়নি আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনূস নামের এক কলেজছাত্রের।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহ নরসিংদী সদরের সাটিরপাড়া এলাকার মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে। সে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী। বাবা-মা থাকেন নরসিংদীতে। তিনি মোহাম্মদপুরের কাঁটাসুর এলাকায় ঢাকা রিয়েল এস্টেটের ৩নং সড়কের ৫৩নং বাড়িতে তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। গত ২২ জুলাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তিকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার বড় ভাই আব্দুর রহমানও ওই বাসায় ছিলেন।
তার ভাই আব্দুর রহমান জানান, গত ২২ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সাদা পোশাকধারী ৮ থেকে ১০ জন লোক তার বোনের বাসায় গিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনুসকে খুঁজতে থাকেন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। এ সময় তারা জোর করে আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনুসকে বাসা থেকে বের করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান। এরপর মোহাম্মদপুর থানা, মহানগর ডিবি কার্যালয় ও র্যাবের একাধিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় গত ২৪ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করা হয়। এরপর পুলিশ একাধিকবার তার বোনের বাসায় এসে খোঁজখবর নিয়েছে। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানা থেকে জিডির কপি ডিবি পুলিশে পাঠানো হয়। ডিবি কার্যালয় থেকেও তাদের ফোন দিয়ে বলা হয়েছে; এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আব্দুল্লাহ’র সন্ধান না পাওয়াতে তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তারা দুজনই এখন শয্যাশায়ী। এছাড়া আমার ভাই বেঁচে আছে কিনা- তা নিয়ে আমরা আত্মীয়-স্বজনেরা উদ্বিগ্ন। ছোটভাই আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনুসকে জীবিত উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার কাছে আবেদন জানান আব্দুর রহমান।
গতকাল মোহাম্মদ থানার এসআই প্রদীপ চন্দ্র সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আবদুল্লাহকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে নিখোঁজ জিডিটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।