মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের মধ্যে সবার আগে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাশিয়া। তবে সে সময়, এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। কিন্তু এবার অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা। বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন তৈরিতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ডবিøউএইচও’র পক্ষ থেকে।
রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক-ফাইভ’ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন নিজেই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু পুতিনের সেই দাবি মানতে নারাজ বিশ্বের অনেক দেশই। এতদিন ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে সাফল্যের দৌড়ে এগিয়ে ছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনকা। ছিল মডার্না, ফাইজারের মতো সংস্থাও। তাদের টেক্কা দিতেই রাশিয়া তড়িঘড়ি স্পুটনিক-ভি আনার কথা ঘোষণা করেছে বলে দাবি করছেন বহু দেশের বিশেষজ্ঞরা। তাদের প্রধান অভিযোগ, রাশিয়ার এই করোনা ভ্যাকসিন এখনও মানব ট্রায়ালের সমস্ত ধাপ উত্তীর্ণ হয়নি। তাই এর কার্যকারিতা সংশয়াতীত নয়।
এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এতদিন এই দেশগুলির সুরে সুর মিলিয়ে এসেছে। তাদের দাবি ছিল এই ভ্যাকসিনটির প্রাথমিক ট্রায়ালের তথ্যই তাদের কাছে নেই। তবে যত সময় যাচ্ছে, তত অবস্থান বদলের ইঙ্গিত মিলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আন্তরিক চেষ্টার জন্য ভ‚য়সী প্রশংসা করে রাশিয়াকে ধন্যবাদও জানালেন।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের রিজিওনাল ডিরেক্টর হান্স ক্লুজ রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসখোর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেই বৈঠকেই, এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে হান্স ক্লুজ নাকি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য রাশিয়া যে উদ্যোগ নিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রশংসা করছে। এই উপযোগী ও নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে প্রচেষ্টার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ।’ ক্লুজ জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত যে রাশিয়ার এই ভ্যাকসিনের যে বড়সড় চ‚ড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল চলছে, তাতেও সাফল্য আসবে। তিনি বলছেন, ‘আমি রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। এখানকার ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস আমি জানি। তাই আমি নিশ্চিত এই বৃহৎ, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালেও রাশিয়া সাফল্য পাবে।’ তার এই মন্তব্যের পরে ধারণা করা হচ্ছে, করোনার ভ্যাকসিন হিসাবে সর্বপ্রথম ‘স্পুটনিক-ফাইভ’কে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্র : দ্য মস্কো টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।